বোয়ালমারী পৌর এলাকায় অবস্থিত সোলনা সালামিয়া এতিমখানা মাদরাসার হেফজখানার এক শিক্ষার্থীকে পায়খানার মধ্যে আটকে রেখে নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীকে তার মা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। এ ব্যাপারে ছাত্রের মা নূপুর বেগম প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, বোয়ালমারীতে ভাড়া বাসায় বসবাসকারী নূপুর বেগমের ছেলে সালমান ফারসিকে গত ১ জানুয়ারি ওই হেফজখানায় ভর্তি করেন। ভর্তির পর থেকেই সালমানকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন হেফজখানার শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম। গত ২০ জানুয়ারি রাত ৮টা থেকে ৯টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত সালমানকে পায়খানার মধ্যে আটকে রাখেন ওই শিক্ষক। এতে সে বাথরুমের মধ্যে বমি করে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে ভয়ার্ত সালমানের চিৎকারে অন্য এক ছেলে পায়খানার দরজা খুলে দিলে সালমান মুক্তি পায়। পরের দিন সকালে খাবার নিয়ে মাদরাসা গেলে নূপুর বেগম ছেলেকে অসুস্থ দেখতে পান। এ সময় তিনি ওষুধ কিনে দিয়ে আসেন। তাতে সে সুস্থ না হলে বৃহস্পতিবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সালমান ফারসির বাবা নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আস্তাইল গ্রামের মো. শফিকুল ইসলাম। অপরদিকে হেফজখানার শিক্ষক মো. রবিউল ইসলামের বাড়ি নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার ঝাউডাঙ্গা গ্রামে।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, এ বিষয়ে তার কিছু বলার নেই। হেফজখানার প্রধানের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ জানান তিনি। হেফজখানার প্রধান হাফেজ হাসমত আলী মোবাইল ফোনে প্রথমে কথা বলতে রাজি হননি। পরে বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ঘটনা সত্য হলে অবশ্যই রবিউলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।