ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কাজী সিরাজুল ইসলাম মহিলা কলেজে ২ শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। স্নাতক ও এইচএসসি (বিএম) শাখার পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দেড় লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগে গভর্নিং বডির নির্দেশে ওই দুই শিক্ষককে শোকজ করা হয়ে। তবে এ ঘটনায় ৫ জন শিক্ষক অভিযুক্ত হলেও রহস্যজনক কারণে শুধু দুই জনকেই শোকজ করা হয়েছে।
জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ৪র্থ বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ফাইনাল পরীক্ষা গত ৭ এপ্রিল থেকে শুরু হয়। মৌখিক পরীক্ষা ১৬ জুলাই শেষ হয়েছে। পরীক্ষায় ৪টি বিভাগের ১৫৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ধার্যকৃত ফিসের বাইরে রসিদ ছাড়া ১ হাজার টাকা করে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেছেন শিক্ষকরা। এতে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা অতিরিক্ত আদায় হয়েছে।
সমাজকর্ম, বাংলা, হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অনার্স ফাইনাল পরীক্ষার পরীক্ষার্থীদের নিকট হতে এই অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয়। বাংলা বিভাগের ড. হোসনে আরা, ব্যবস্থাপনা বিভাগের রবীন কুমার লস্কর, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের তন্দ্রা রানী দাস এবং সমাজকর্ম বিভাগের মো. ফরহাদুল ইসলাম সিকদার এই অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন।
এ ছাড়া সহকারী অধ্যাপক মো. আলমগীর হোসেন বিএম শাখার ১৭৮ জন এইচএসসি পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার ফিসের অতিরিক্ত ১শ’ টাকা করে আদায় করেন।
একই ঘটনায় ৫ জন অভিযুক্ত হলেও এদের মধ্যে সমাজকর্ম বিভাগের মো. ফরহাদুল ইসলাম সিকদার এবং সহকারী অধ্যাপক মো. আলমগীর হোসেনকে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির নির্দেশে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। নোটিশে ৭ দিনের মধ্যে এ ব্যাপারে জবাব চাওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ খন্দকার আবু মোরসালিন দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, সভাপতির নির্দেশে ২ জনকে শোকজ করা হয়েছে। বাকিরা গভর্নিং বডির মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অতিরিক্ত টাকা নিয়েছিল, তাই তাদের শোকজ করা হয়নি।