প্রতিটি মানুষের শিক্ষা জীবনই মূলত কয়েকটি দুটি ধাপে বিভক্ত। প্রথম ধাপটি প্রাথমিক শিক্ষাজীবন, যা শুরু হয় প্রধাণত পাঁচ কিংবা ছয় বছর বয়সে, যেখানে বিদ্যালয়ের পাশাপাশি পারিবারিক শিক্ষাও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে যেখানে প্রতিটি শিশুর মানুষিক এবং চিন্তাশক্তির বিকাশ ঘটে। এটিই একজন মানুষ গড়ে তোলার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ সময় হলেও আমরা এই অংশে গুরুত্ব দিয়ে থাকি সবথেকে কম। শিক্ষা আর দক্ষতার মধ্যকার ব্যাবধাণের শুরুও হয় এই স্তর থেকেই। আর দ্বিতীয় ধাপটি হলো কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন। আর এই পুরো শিক্ষাব্যবস্থার শুরুই হয়েছিল শিল্প বিপ্লবকে কেন্দ্র করে, যার পিছনের মূল কারণই ছিল আদেশ বা নির্দেশ মেনে চলা। সঙ্গত কারণেই এই শিক্ষা ব্যবস্থায় পাঠ্যপুস্তকের বাইরে কিছু জানার বা শেখার সুযোগ খুবই কম। আর তাই বর্তমান সময়ে এসে কারিগরি দক্ষতা এবং বাস্তবসম্মত ও সৃষ্টিশীল চিন্তাশক্তি এবং শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের ব্যাবধান অনেক বেশি এবং তা সময়ের সাথে বেড়েই চলছে।
অন্যদিকে ভবিষ্যতে দক্ষ জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার ক্ষেত্রে আমরা যারা কাজ করে যাচ্ছি, আমরা চেষ্টা করছি, বাংলাদেশের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানগুলো এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি সংযোগ স্থাপণ করতে। এর অংশ হিসেবে প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানগুলোর সাহায্য নিয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যে কিছু সেমিনার বা ওয়ার্কশপ আয়োজন করতে যাচ্ছি, যেখানে প্রায় ১০০ জন অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব শিক্ষার্থীদের সাথে সরাসরি এবং ডিজিটাল প্লাটফর্মে সংযুক্ত হবেন। তাছাড়া দেশের ৮টি বিভাগেই প্রশিক্ষণকেন্দ্র এবং ইনোভেশন সেন্টারে প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছি যা সম্পূর্ণভাবেই যুব উন্নয়ন এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন পরীক্ষামূলক এবং নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাবে।
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা, বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম