রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শেকৃবি) দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উত্তর ও ময়মনসিংহ দুই আঞ্চলিক গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষ ঘটে।
এ সংঘর্ষে শেরেবাংলা হলের প্রবেশদ্বারে ময়মনসিংহ অঞ্চলের সিফাত নামের একজন শিক্ষার্থী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, দেশীয় অস্ত্র (রড, পাইপ ইত্যাদি) নিয়ে দুই গ্রুপের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে লিপ্ত হতে দেখা গেছে।
এ সময় তারা শেরেবাংলা হলে কক্ষ ভাঙচুর, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ১৭ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ব্যর্থ হলে পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন বলেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে ইতিমধ্যে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজ (বুধবার) তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে নিরপেক্ষভাবে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ কক্ষে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দার আলী।
জানা গেছে, এ সংঘর্ষের আগে এই দুই গ্রুপের মধ্যকার উদ্ভুত উত্তেজনা নিরসনের জন্য উভয় পক্ষের শিক্ষার্থীদের নিয়ে শেরেবাংলা হলের গেস্টরুমে জরুরি সভায় বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও প্রক্টর। এ সময় সভায় ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান, সহকারী প্রক্টর, শেরেবাংলা হলের প্রভোস্ট ও নবাব সিরাজ উদ-দৌলা হলের প্রভোস্টসহ শেকৃবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম মাসুদুর রহমান মিঠু এবং সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
তবে এই সভার পরও দুই পক্ষে আবারও সংঘর্ষ বাঁধে।