সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর - দৈনিকশিক্ষা

সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর

নিজস্ব প্রতিবেদক |

সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন ধরনের কল্যাণ সুবিধা বাড়াতে ‘বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড (সংশোধন) বিল-২০১৮’ জাতীয় সংসদে পাস হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনে বিলটি পাসের আগে জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। গত ৯ জুলাই বিলটি সংসদে উত্থাপনের পর অধিকতর পরীক্ষার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ২০০৪ খ্রিস্টাব্দের এ সংক্রান্ত আইন সংশোধনের জন্য ওই বিলটি আনা হয়।
 
বিলে বলা হয়েছে, চাকরিরত অবস্থায় কোনো কর্মচারী মারা গেলে এই আইন ও বিধিমালার বিধান সাপেক্ষে, তার পরিবারকে বিমা বাবদ সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর সর্বশেষ প্রাপ্ত মাসিক মূল বেতনের হারে ২৪ মাসের বেতনের সমপরিমাণ অর্থ বা অনূর্ধ্ব এক লাখ টাকা দেওয়া হবে। পাস হওয়া বিলে এই বিধানের সংশোধন করে বলা হয়েছে, সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত হারে টাকা দেওয়া হবে।
 
বিদ্যমান আইনে কল্যাণ বোর্ডে সরকারি কর্মচারীদের চাঁদা নির্ধারিত ছিল। সেখানে বলা ছিল, মাসিক চাঁদা হিসেবে প্রত্যেক কর্মচারীকে তার বেতনের শতকরা একভাগ অথবা পঞ্চাশ টাকা, এর মধ্যে যা সর্বনিম্ন, বেতন থেকে কেটে কর্মচারী কল্যাণ তহবিলে জমা করতে হবে। নতুন আইনে এই ধারা সংশোধন করে সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত হারে চাঁদা দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।


 
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং জাতীয় বেতন ও চাকরি কমিশন-২০১৩ এর সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের চাঁদা, যৌথবিমার প্রিমিয়াম এবং বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের বিভিন্ন সাহায্য মঞ্জুরির পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়ে অর্থ বিভাগের সম্মতি নেওয়া হয়।
 
আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড আইন-২০০৪ এ অর্থের পরিমাণ নির্ধারিত থাকায় যে যে স্থানে অর্থের পরিমাণ উল্লেখ রয়েছে, সেসব স্থানে সংশোধন আবশ্যক হয়ে পড়ে। তাছাড়া অর্থের পরিমাণ সময়োপযোগী করার প্রয়োজনে বারবার আইন সংশোধন পরিহার করার সুবিধার্থে এবং টাকার অঙ্ক সময়ে সময়ে পরিবর্তন সহজ করতে আইন সংশোধনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
 
এছাড়া কর্মক্ষম জনগণের দক্ষতা উন্নয়ন পদ্ধতি উদ্ভাবন, সংস্কার, সক্ষতা বৃদ্ধি ও সমন্বয়ের লক্ষ্যে ‘জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন-২০১৮’ পাস হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0044009685516357