রাজশাহী মহানগরীতে গলায় ফাঁস দিয়ে জাহিদুল ইসলাম রাজ নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। তিনি নগরীর তালাইমারী বাদুড়তলা এলাকার মৃত জাহাগীর আলমের ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় নিজের ঘর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মতিহার থানা পুলিশ।
থানার ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ জানান, জাহিদুল ইসলাম ঋণগ্রস্ত ছিলেন। তার কাছে অনেকেই টাকা পেতেন। ধারণা করা হচ্ছে ঋণে জর্জরিত হয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এদিকে নওগাঁর সাপাহারে ছাত্রাবাস থেকে গলায় ফাঁস দেয়া আজমীর হোসেন নামে এক ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলা সদরের মধু প্রভাষকের ছাত্রাবাস থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। আজমীর হোসেন উপজেলার বাবুপুর গ্রামের মনছুর আলীর ছেলে ও সাপাহার সরকারি ডিগ্রি কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের প্রথম বর্ষের ছাত্র। জানা যায়, সন্ধ্যায় ছাত্রাবাসে আজমীর হোসেন তার ঘরে একা ছিলেন।
পরে তার রুমমেট এসে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। অনেক ধাক্কাধাক্কির পর দরজার শিকল ভেঙে গেলে আজমীরকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখে চিৎকার দেন। পরে ছাত্রাবাসের অন্য শিক্ষার্থীরা ছুটে আসেন। বিষয়টি থানায় অবগত করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। তার হাতে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ‘এস’ লেখা দেখে কোনো এক মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।