জুতা পায়ে শহীদদের বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা সেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু তাহেরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি তার সহকর্মীকে লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।তার ১০জন সহকর্মী উলিপুর থানায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকের কাণ্ড জানিয়ে একটি সাধারণ ডায়রি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও কলেজ সুত্রে জানা যায়, জেলার উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু তাহের বিগত তিন বছরের বেশি সময় ধরে এ কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্বে রয়েছেন।
সম্প্রতি উলিপুর সরকারি কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আসাদুল হাবিব আরিফ বলেন, ‘গত ১৪ জানুয়ারি দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে কলেজ চলাকালীন জনৈক আব্দুর রউফ নামে হঠাৎ কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকে কোন কারণ ছাড়াই আমাকে লাঞ্ছিত করেন।অপরাপর শিক্ষকগণ তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন।পরে সে ব্যক্তি চলে যান।’
‘পরবর্তীতে জানতে পারি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোবাইল ফোনে দুই শিক্ষককের ওপর হামলা করার নির্দেশ দিয়েছেন, যা অডিও বার্তায় সংরক্ষিত রয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়রী (জিডি) করেছেন ওই কলেজের শিক্ষকগণ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অধ্যক্ষ আবু তাহের মহান বিজয় দিবসে (১৬ই ডিসেম্বর) জুতা পায়ে ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পনের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ওই অধ্যক্ষকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।এরপর তিনি গুরুতর আহত হয়ে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। পরে অধ্যক্ষ বাদী হয়ে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু তাহের জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ বানোয়াট ও চক্রান্তমূলক।তবে শিক্ষকরা বেশ কিছুদিন ধরে চক্রান্ত অব্যাহত রেখেছেন।উলিপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ারুল ইসলাম অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে জিডি’র ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনা তদন্তের অনুমতি চেয়ে জিডির কপি আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক এমএ মতিন জানান, এ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সরকারি কলেজে থাকার একেবারেই অযোগ্য।