লালমনিরহাটে বাল্যবিয়ে করার দায়ে এক পুলিশ সদস্যকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এদিকে তার মাসহ আরও ৮ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে এ আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়শ্রী রানী রায়।
বাল্য বিয়ে করা পুলিশ কনস্টেবল সিয়াম মুন্না (২৫) আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের চওড়াটারী গ্রামের পুলিশ সদস্য সুজন দুলালের ছেলে। এছাড়া তার মা মনোয়ারা বেগম, সারপুকুর গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে মোবারক হোসেন (৪৫), একই গ্রামের জোনাব আলী (৫০), একই উপজেলার সাপ্টিবাড়ী জামুরটারী গ্রামের মোসলেম উদ্দিন (৫৮), দেলদার আলীর স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (৫০), একই উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের বসিনটারী গ্রামের মোসলেম উদ্দিন (৬০), একই এলাকার আদিতমারী গ্রামের ব্যবসায়ী ইব্রাহীম মিয়ার স্ত্রী শেফালী বেগম (৩৯) ও মৃত আব্দুল কাদের মিয়ার স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে (৩০) জরিমানা করা হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, পুলিশ সদস্য সিয়াম মুন্নার সাথে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের সেতু বাজার এলাকার নবম শ্রেণির স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছে এমন খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই স্কুলছাত্রীর বাড়িতে যাওয়ার পথেই ফিরতি বরযাত্রীর গাড়ি আটক করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়শ্রী রানী রায়।
এসময় বর ও কনের গাড়ি পালিয়ে গেলেও বর যাত্রীর ৭ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
পরে শনিবার বরকে আটক করে পুলিশ। আটককৃতদের শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জয়শ্রী রানী রায়ের পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। এসময় বর সিয়াম ও তার মা মনোয়ারা বেগম তাদের অপরাধ স্বীকার করে নেন। বাল্যবিয়ে নিরোধ আইনে বর সিয়াম মুন্নাকে এক লাখ টাকা ও তার মা মনোয়ারা বেগমকে ৫০ হাজার টাকা এবং আটক বরযাত্রী ৭ জনের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম করাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রত্যেকে নিজ নিজ জরিমানার অর্থ জমা দিয়ে মুক্তি পান।