উজানে ভারি বর্ষণে বহ্মপুত্র-যমুনার পানি বাড়তে থাকায় আগামী ১০ দিনের মধ্যে দেশের আট জেলার অনেক এলাকা পাঁচ থেকে সাত দিনের বন্যার মুখে পড়তে যাচ্ছে বলে আভাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, সিরাগঞ্জ, বগুড়া, টাঙ্গাইল, রাজবাড়ী ও মুন্সিগঞ্জে স্বল্পমেয়াদী এ বন্যা দেখা দিতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত পূর্বাভাসে জানিয়েছে, বহ্মপুত্র ও যমুনার পানি আগামী ১০ দিন বাড়তে পারে।
শনিবার নাগাদ বহ্মপুত্র নদের পানি কুড়িগ্রামের উলিপুর ও চিলমারীতে; রবি ও সোমবার যমুনার পানি গাইবান্ধার ফুলছড়ি, জামাপালপুরের বাহাদুরাবাদে, সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে, বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে এবং টাঙ্গাইলের এলাসিনে বিপদসীমার উপরে প্রবাহিত হতে পারে
আরিফুজ্জামান বলেন, “এর ফলে এ জেলাগুলোতে নদী সংলগ্ন এলাকার নিম্নাঞ্চলে স্বল্প মেয়াদী বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।”
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, গঙ্গার পানি বাড়লেও আপাতত কোনো পয়েন্টে বিপদসীমার ওপরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
তবে মুন্সীগঞ্জ জেলার ভাগ্যকূল পয়েন্টে এবং রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এসব জেলায়ও স্বল্প মেয়াদী বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
এ সময়ে ঢাকার আশপাশের নদ-নদীর পনি বাড়লেও বিপদসীমা অতিক্রমের শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান।
জুন মাসের দীর্ঘমেয়াদী আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, মৌসুমি ভারি বর্ষণের কারণে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের কিছু স্থানে স্বল্প মেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে জুলাই-অগাস্টে দুই দফা বন্যা হয়। ওই সময় অগাস্টের বন্যায় দেশের ৩০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত হয়। গেল বছর জুলাইয়ে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ২৮ জেলায় ৩০ লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।