যশোর বোর্ডের আওতাধীন নড়াইল জেলার কালিয়া-৩২২ এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে এসএসসি পরীক্ষায় বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী সিমি খাতুন অংশ নিলেও তার স্বীকৃতি মেলেনি এখনও। অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর আওতায় আসতে পারেনি সে।
জানা গেছে, গাজীরহাট হাজী নৈমুদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এবছরের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে সিমি খাতুন। তার রোল নং ২৪৮৪২৫, রেজি: নং ১৭১৩২৬৬৩৩০, সেশন- ২০১৮-১৯, বিভাগ- মানবিক। দিঘলিয়া উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে সিমি খাতুনকে বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীর স্বীকৃতি দিয়ে তাকে ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে।
প্রতিবন্ধী সিমি খাতুনের বাবা কৃষক মো. আজিজ শেখ জানান, ছোট বেলা থেকেই সিমি খাতুন কথা বলতে পারে না এবং কানেও শোনে কম।
অদম্য মেধাবী সিমি খাতুন প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সাথে উত্তীর্ণ হয়। এরইমধ্যে এসএসসি পরীক্ষায় বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা হয়ে গেলেও সিমি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুর আওতায় পড়েনি।
বিষয়টি সম্পর্কে এসএসসি পরীক্ষা কালিয়া কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব তরুণ কান্তি মল্লিক জানান, যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে সিমিকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীর আওতায় আনার অনুমতি মিললে সে পরীক্ষায় বর্ধিত সময় পেতো এবং তার লিখিত উত্তরপত্র আলাদাভাবে প্রেরণ করা যেতো।
অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষের।
এ ব্যাপারে যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মাধব চন্দ্র রুদ্র বলেন, ওই পরীক্ষার্থীর বিষয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের স্বীকৃতি থাকলে সে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) পরীক্ষার্থীর সব ধরণের সুযোগ সুবিধা পাবে।