চট্টগ্রাম শহর এলাকার একটি বাসে ৬ এপ্রিল ভুলবশত এসএসসি পরীক্ষার বিজ্ঞান বিষয়ের ৫০টি উত্তরপত্র গাড়িতে রেখে এসেছিলেন অমিতাভ দত্ত নামের এক শিক্ষক। খোঁজাখুঁজির পরেও সেই উত্তরপত্রগুলো না পেয়ে একই দিন চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তাদের সুপারিশে নগরের পাঁচলাইশ থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন তিনি। তবে ঘটনার ১২ দিন পর গতকাল বুধবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত সেসব উত্তরপত্রের সন্ধান পায়নি পুলিশ।
উত্তরপত্র হারিয়ে ফেললেও সেসব উত্তরপত্র আগেই মূল্যায়ন করে নম্বর ফর্দ তৈরি করেছিলেন ওই শিক্ষক। তিনি সেটি শিক্ষা বোর্ডে জমা দিয়েছেন। যেসব শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র হারিয়ে গেছে তারা যদি ফল ঘোষণার পর উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করে সে ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হবে। তবে শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কোনো শিক্ষার্থী উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করলে, যে সিদ্ধান্ত হবে তা শিক্ষার্থীদের পক্ষে যাবে।
যোগাযোগ করা হলে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ওয়ালি উদ্দীন আকবর বলেন, হারিয়ে যাওয়া উত্তরপত্রের সন্ধান চলছে। কিন্তু এখনো পাওয়া যায়নি।
উত্তরপত্র পাওয়া না গেলেও পুনর্মূল্যায়নের ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি হবে না বলে জানান শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (মাধ্যমিক) প্রসেনজিৎ পাল। তিনি বলেন, যেসব শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র হারিয়ে গেছে তারা পরীক্ষার ফল ঘোষণার পরে উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের আবেদন করে সে ক্ষেত্রে আন্তশিক্ষা বোর্ডের ট্যাবুলেশন নীতিমালা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই নীতিমালা অনুযায়ী সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষেই যাবে।
সাধারণ ডায়েরি থেকে জানা যায়, বোয়ালখালী উপজেলার মুক্তকেশী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক অমিতাভ দত্ত ৬ এপ্রিল বিকেল চারটায় নগরের মুরাদপুর এলাকা থেকে বাসে ওঠেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে দুটি ব্যাগে উত্তরপত্র ছিল। তিনি নগরের সানমার ওশান সিটি শপিং মলের সামনে গাড়ি থেকে নামেন। বেশ কিছুক্ষণ পর তিনি নিশ্চিত হন, ভুলবশত ৫০টি উত্তরপত্র থাকা ব্যাগটি গাড়িতে রেখে এসেছেন। কিন্তু ততক্ষণে ওই বাসটি চলে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তিনি উত্তরপত্রগুলো পাননি। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিকভাবে প্রসেনজিৎ পাল ও বোর্ডের বিজ্ঞান বিষয়ের প্রধান পরীক্ষক পূর্ণিমা ঘোষকে জানান। তাঁরা ওই শিক্ষককে সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেন।