নানা নাটকীয়তার পর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. ফজলুল হককে নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অনুমোদনক্রমে এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে। জানা গেছে, ভিসির বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে প্রশাসনিক পদে নিয়োজিত ১৭ জন শিক্ষক ৭ অক্টোবর থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন।
এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়ায় ওইদিনই অধ্যাপক মো. ফজলুল হককে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়। এবং অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ রাজিব হাসানকে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেয়া হয়।
তারা দু’জন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের শিক্ষক। ৯ অক্টোবর আন্দোলনরত শিক্ষকরা ভিসির সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিং করে কর্মবিরতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন।
এ সময় তারা অধ্যাপক ফজলুল হককে পুনরায় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের পদে পুনর্বহালের দাবি জানান। পরবর্তিতে ভিসি অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাশেম তাদের জানিয়ে দেন যে, ফজলুল হককে আর রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেয়া সম্ভব নয়।
প্রয়োজনে তাকে অন্য দায়িত্ব দেয়া যেতে পারে। এতে হাবিপ্রবি’র মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ ও ছাত্রলীগের একটি অংশ ক্ষুব্ধ হয়।
তারা অধ্যাপক মোহাম্মদ রাজিব হাসানকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজাকারের সন্তান হিসেবে আখ্যায়িত করেন। ১৩ অক্টোবর ছাত্রলীগের একাংশ অধ্যাপক রাজিব হাসনকে রেজিস্ট্রারের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার দাবিতে মানববন্ধন করে।
এ অস্থিতিশীল ও উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি অধ্যাপক রাজিব হাসান। অবশেষে বৃহস্পতিবার তিনি রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে বাধ্য হন।
ভিসি অধ্যাপক ড. মু. আবুল কাশেম বলেন, ৭ অক্টেবর একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি মিটিং থাকায় বাধ্য হয়েই এক অফিস আদেশের মাধ্যমে অধ্যাপক মোহাম্মদ রাজিব হাসানকে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।