১৪ মার্চকে (বিশ্ব পাই দিবস) আন্তর্জাতিক গণিত দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনেস্কো। গত ২৬ নভেম্বর ইউনেস্কোর ৪০তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এখন থেকে প্রতি বছর ১৪ মার্চ বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক গণিত দিবস পালন করা হবে। আগামী ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ মার্চ ইউনেস্কোর প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম আন্তর্জাতিক গণিত দিবস পালন করা হবে। ২০২০ সালের জন্য প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- গণিত সর্বত্র।
সারাবিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ গণিত সমিতিও ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ মার্চ আন্তর্জাতিক গণিত দিবস পালনের বিস্তারিত কর্মসূচি নিয়েছে।
এতদিন গাণিতিক ধ্রুবক পাই-এর সম্মানে ১৪ মার্চ পাই দিবস পালন করা হতো। পাই দিবস ১৪ মার্চ দুপুর ১টা ৫৯ মিনিটে পালন করা হয়। এ দিন দুপুর ১টা ৫৯ মিনিট ২৬ সেকেন্ডকে পাই সেকেন্ড বলা হয়।
১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে পদার্থবিদ ল্যারি শ' পাই দিবসের ধারণার প্রবর্তন করেন। সানফ্রান্সিসকোর বিজ্ঞান জাদুঘরের কর্মকর্তা ল্যারি শ' এ দিবস পালনের উদ্যোক্তা বলে তাকে 'পাই-এর রাজপুত্র' বলা হয়। ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দের ১২ মার্চ যুক্তরাষ্ট্র সরকার ১৪ মার্চকে জাতীয় পাই দিবস হিসেবে পালনের অনুমোদন দেয়। তবে বাংলাদেশে পাই দিবস উদযাপিত হচ্ছে ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে।
বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির উদ্যোগে দেশে এ দিবস উদযাপন শুরু হয়। দেশের বেশ কিছু গণিত ক্লাব ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নানা আয়োজনের মধ্যে দিবসটি পালিত হয়।
ইউক্লিডীয় সমতলীয় জ্যামিতিতে, বৃত্তের পরিধি ও ব্যাসের অনুপাতকে পাই হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। উইলিয়াম জোনস সর্বপ্রথম ১৭০৬ খ্রিষ্টাব্দে পাই প্রতীকটির প্রচলন করেন। তবে এ প্রতীকটিকে জনপ্রিয় করেন সুইস গণিতবিদ লিওনার্দো ইউলার।