১৫ শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ - দৈনিকশিক্ষা

অবৈধ নিয়োগ, দুর্নীতি১৫ শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক |

অবৈধ নিয়োগ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীসহ ১৫ শিক্ষক কর্মচারী এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এক সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। 

অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলেজের আয় থেকে অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী নিজের ইচ্ছে মতো টাকা খরচ করছেন। তিনি ঘুষের বিনিময়ে ১৪ শিক্ষক-কর্মচারীকে অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়েছেন। এছাড়া কিছু শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধেও একই সাথে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি, ডাবল এমপিওভোগ, কমিটি ছাড়া নিয়োগের অভিযোগ এসেছে। অন্যদিকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন সহকারী পরিচালক তার প্রতিবেদন পেশ না করে শিক্ষকদের কাছ থেকে দফায় দফায় ঘুষ বাবদ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও দুদকে পাঠানো অভিযোগে বলা হয়েছে। 

অভিযুক্তরা হলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হেলাল উদ্দিন, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী, ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক মো. জাফর আলম, ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক মো. শাহে আলম, পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক দেলোয়ার হোসেন, পৌরনীতির প্রভাষক কাজী সাহাব উদ্দিন, অর্থনীতির প্রভাষক ছন্দা চৌধুরী, গণিতের প্রভাষক আব্দুল ওহাব, যুক্তিবিদ্যার প্রভাষক নার্গিস সোলতানা, জীববিজ্ঞানের প্রভাষক মৈত্রী বড়ুয়া, সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক তাহমিনা খানম, বাংলার প্রভাষক হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, হিসাববিজ্ঞানের প্রভাষক রনজিত বড়ুয়া, ইংরেজির প্রভাষক মুজিবুল আলম, সহকারী লাইব্রেরিয়ান নুরুল আমিন এবং অফিস সহকারী আবদুল করিম। 

অভিযোগে বলা হয়, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীর কাম্য যোগ্যতা নেই। কলেজের অধ্যক্ষ হতে হলে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হলেও তার তা নেই। তার পাঠদানের বিষয় লোকপ্রশাসন হলেও কলেজে তা নেই। বিষয় ও অভিজ্ঞতা ছাড়া কমিটি তাকে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেয় এবং এমপিওভুক্ত করা হয়।

ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক মো. জাফর আলমের নিয়োগের সময় অনুমোদিত কমিটি ছিলো না বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। ভুয়া কমিটি সৃজন করে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এছাড়া তার বিষয় ঠিক নেই। তার বিষয় ইসলামের ইতিহাস হলেও তিনি ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত। এছাড়া অভিযোগে বলা হয় তার বিরুদ্ধে ৫টি মামলার চার্জশিট প্রদান করা হয়। আদালত চার্জশিট গ্রহণ করছে। চাকরির বিধি অনুযায়ী কারো বিরুদ্ধে চার্জশিট আদালত গ্রহণ করলে তাকে চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে হয়। তিনি কমিটি ও অধ্যক্ষের সহায়তায় চাকরিতে কর্মরত আছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

ইতিহাস বিষয়ের প্রভাষক মো. শাহে আলম ২০০০ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা কলেজে নিয়োগ লাভ করেন। কিন্তু তিনি ২০১০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত টেকনাফ জেলার আল আছিয়া স্কুল এন্ড কলেজে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ের এমপিওভুক্ত সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। তিনি একই সাথে দুই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত থেকে সুযোগ সুবিধা ভোগ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। 
 
পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক দেলোয়ার হোসেনের নিয়োগের সময় কোন কমিটি ছিলো না বলে অভিযোগ এসেছে। তিনি বর্তমানে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলারে একটি মাদরাসায় শিক্ষক হিসেবে এমপিওভুক্ত আছেন। তিনি দুই প্রতিষ্ঠানে থেকে এমপিও ভোগ করে আসছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। এছাড়া তিনি পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক হলেও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে কোন ছাত্রী নেই।   

পৌরনীতির প্রভাষক কাজী সাহাব উদ্দিনের কাম্য যোগ্যতা নেই বলে অভিযোগ এসেছে। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে নিয়োগ বিধি অনুযায়ী শিক্ষা জীবনে কোন পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ থাকলে প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু কাজী সাহাব উদ্দিনের এইচএসসি সনদে তৃতীয় বিভাগ রয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এছাড়া অধ্যক্ষ হামিদুর হক ও প্রভাষক কাজী সাহাব উদ্দিনের যৌথ স্বাক্ষরে পূবালী ব্যাংকের উখিয়া শাখায় কলেজের হিসাব অবৈধভাবে পরিচালনা করা হয় বলেও অভিয়োগে বলা হয়েছে। অভিযোগে আরও বলা হয়, অধ্যক্ষ এবং কাজী সাহাব উদ্দিনের ২০০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত নিজেদের ইচ্ছামত প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।    

অর্থনীতির প্রভাষক ছন্দা চৌধুরীর অনার্সে তৃতীয় বিভাগে ছিলো বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া তিনি ২০০১ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা কলেজ থেকে পদত্যাগ করে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু ২০১০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হলে কলেজটির অধ্যক্ষ প্রভাষক ছন্দা চৌধুরীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করে তাকে এমপিওভুক্ত করেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

গণিতের প্রভাষক আব্দুল ওহাবের নিয়োগের সময় কোন কমিটি ছিল না বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এছাড়া তার নিয়োগ কমিটির সকল স্বাক্ষর জালে এবং নিয়োগের তারিখ ঠিক নাই বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। 

যুক্তিবিদ্যার প্রভাষক নার্গিস আক্তারকে নিয়োগ কমিটির স্বাক্ষর জাল করে নিয়োগে দেওয়া হয়েছে। তিনি ২০০১ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা কলেজ থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু ২০১০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হলে কলেজটির অধ্যক্ষ যুক্তিবিদ্যার প্রভাষক নার্গিস আক্তারকে অবৈধভাবে এমপিওভুক্ত করেছেন। কলেজের নথীতে এর প্রমান পাওয়া যাবে বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, জীববিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক মৈত্রী বড়ুয়ার নিয়োগের সময় কোন কমিটি ছিলো না। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে জীববিজ্ঞানের প্রভাষক পদে এম নুরুল বশর ভুইয়া নামে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অধ্যক্ষ মোটা অঙ্কের টাকা গ্রহণ করে ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে অবৈধভাবে  মৈত্রী বড়ুয়াকে নিয়োগ প্রদান করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

সমাজবিজ্ঞানের প্রভাষক তাহমিনা খানমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তার কাম্য যোগ্যতা নেই। এইচএসসি ও মাস্টার্সের সনদে ৩য় বিভাগ রয়েছে তার। এছাড়া ২০০১ খ্রিস্টাব্দে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা কলেজ থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু ২০১০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হলে কলেজটির অধ্যক্ষ মোটা অঙ্কের টাকা গ্রহণ করে তাহমিনা খানমকে নিয়োগ দেন। তার ২০০১ খ্রিস্টাবেদার পদত্যাগ পত্রটি অধ্যক্ষ গায়েব করে ফেলেছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে।

বাংলার প্রভাষক হেলাল উদ্দিনের এইচএসসিতে ৩য় বিভাগ রয়েছে। তার নিয়োগের সময় কোন কমিটি ছিল না বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। কলেজে বাংলা বিভাগে একটি পদ ছিল। ২০০০ খ্রিস্টাব্দে মিলন কুমার বড়ুয়া নামের এক শিক্ষককে বিধি মোতাবেক নিয়োগ দেওয়া হলেও ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে হেলাল উদ্দিনকে কমিটি ছাড়াই স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া কমিটির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।  

হিসাববিজ্ঞানের প্রভাষক রনজিত বড়ুয়া, ইংরেজির প্রভাষক মুজিবুল আলমের নিয়েগের সময় অনুমোতি কমিটি ছিলোনা। জাল স্বাক্ষরে ভুয়া কমিটি গঠন করে টাকার বিনিময়ে তাদের নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ এসছে। 

এদিকে সহকারী লাইব্রেরীয়ান নুরুল আমিনের কাম্য যোগ্যতা নেই বলে অভিযোগে জানা গেছে। অধ্যক্ষকে ২ লাখ টাকা দিয়ে ভুয়া সনদের মাধ্যমে তিনি নিয়োগ লাভ করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। 

অফিস সহকারী আবদুল করিম ভুয়া আয় ব্যয়ের হিসাব দেখিয়ে, কমিটির সদস্যদের নামে ভুয়া রেজুলেশন করে সভাপতি ও সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে অধ্যক্ষের সাথে যোগসাজশ করে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হেলাল উদ্দিনও এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত। বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা মুজিব মহিলা কলেজের অনিয়ম ও দুর্নীতির ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে জানালে সহকারী পরিচালক হেলাল উদ্দিনকে বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দিয়ে ২০১৫ খ্যিস্টাব্দের ২৫ নভেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। কিন্তু তিনি বিষয়টির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেননি। প্রতিবেদন জমা না দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকদের কাছ থেকে অধ্যক্ষের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা ঘুষ হিসেবে এ কর্মকর্তা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলেও অভিযোগে বলা হয়েছে। 

এ বিষয়ে অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত। আমি তখন থেকেই এ কলেজে আছি। এ অভিযোগের ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। তাই অভিযোগের বিষয়ে  কিছুই বলতে পারছিনা। 

দুর্নীতির বিষয়ে কলেজ পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি ফজলুল করিম দৈনিকশিক্ষাকে জানান, প্রতিষ্ঠানটির জন্মলগ্ন থেকেই অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতায় প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি তাকে বহুবার সতর্ক করেছি। কিন্তু কেউ বিষয়টি তোয়াক্কা করেনি। কলেজটির কমিটির মেয়াদ শেষ হলে বোর্ড থেকে নতুন কমিটি গঠন করতে বলে। কিন্তু এ বিষয়ে অধ্যক্ষকে বললে সরকারি নিয়মনীতি অমান্য করে কমিটি গঠন করতে রাজি হননি অধ্যক্ষ। উল্টো আমাকে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। অধক্ষের অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার শিকার হয়েই কলেজটি প্রায় ২০ বছর ধরে পরিচালিত হচ্ছে।  

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0043900012969971