মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীকে র্যাগিংয়ের নামে মারধর করার ঘটনায় জড়িত ছয় শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে মঙ্গলবার তৃতীয় দিনের মতো ক্লাস বর্জন করেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, গত শুক্রবার রাতে জননেতা আবদুল মান্নান হলের তিনতলায় ডেকে নিয়ে বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিম আহমেদকে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেওয়া হয়। এ ছাড়া শাহপরাণ শুভ ও রানাকেও র্যাগিংয়ের নামে মারধর করা হয়। এ মারধরের নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম শিকদার। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন এসএম রাশেদুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, আতিকুজ্জামান ও অনিন্দ্য রায়। মারধর করে তারা ফাহিমকে শিবিরের সদস্য বলে প্রচার করে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ রয়েছে, ছাত্রলীগের প্রভাব খাটিয়ে সায়েম ও তার সহযোগীরা র্যাগিংয়ের নামে বিভিন্ন সময় ওই বিভাগের শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করত।
এদিকে, গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জরুরি সভা করে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েম শিকদার, প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী এসএম রাশেদুল ইসলাম, জিল্লুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, আতিকুজ্জামান ও অনিন্দ্য রায়কে সাময়িক বহিষ্কার করে। এ ছাড়া কেন তাদের স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তা জানাতে সাত কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানো এবং ক্যাম্পাস ও এর আশপাশের এলাকায় প্রবেশ ও একাডেমিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনকে বহিষ্কার ও একজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক মোস্তফা কামাল নাসিরকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।