নারীদের ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে স্বয়ংক্রিয় প্রতিরক্ষামূলক যন্ত্র ‘অ্যান্টি রেপ ডিভাইস’ সরবরাহের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে এই কমিটিতে একজন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপককে রাখতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে কমিটিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
নারীদের ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা করতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, এই মর্মে রুল জারি করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল হালিম। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান, ব্যারিস্টার শারমিন শিউলী ও অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।
এর আগে যৌন নির্যাতন প্রতিরোধে নারীদের ‘অ্যান্টি রেপ ডিভাইস’ সরবরাহের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়।
রিটে নারীদের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা কেন গ্রহণ করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। একইসঙ্গে বিদেশ থেকে ‘অ্যান্টি রেপ ডিভাইস’ আনতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) ও সিসিবি ফাউন্ডেশনের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এ রিট দায়ের করেন।
রিটকারী আইনজীবী জানান, অ্যান্টি রেপ ডিভাইস যদি কোনো নারী তার শরীরে বহন করে, ফলে তাকে কেউ যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৯৯৯ কল চলে যাবে। এটা উন্নত দেশে ব্যবহার করা হয়।