আগামী নির্বাচনের আগেই শিক্ষকদের একাউন্টে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতার টাকা শিক্ষকদের একাউন্টে চলে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন। বিশ্ব শিক্ষক দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৫ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন আয়োজিত আলোচনা সভায় শিক্ষক নেতারা এমন আশার বাণী শুনিয়েছেন শিক্ষকদের।
শিক্ষক নেতারা শর্তসাপেক্ষে হলেও পুরো শিক্ষা ব্যবস্থা সরকারিকরণের দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, সরকারিকরণের ফলে ব্যবস্থাপনা কমিটির অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ হবে। এতে করে তাদের চাকরির নিশ্চয়তা নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ায় শিক্ষকরাও কোচিংসহ বাড়তি আয়ের জন্য অন্যত্র সময় ব্যয় না করে পঠনপাঠনে অধিক মনোযোগী হতে পারবেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন, আগামী নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখ থেকে ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট এবং বৈশাখী ভাতার ঘোষণা শুনতে চাই। আর নির্বাচনের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারিকরণের দাবি বাস্তবায়ন করবে সরকার।
নির্বাচনী দায়িত্ব স্বাধীনতা শিক্ষক কর্মচারী ফেডারেশন ও সমমনা সংগঠনের শিক্ষকদের দেয়ার আহবান জানিয়ে প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান বলেন, নির্বাচনের দায়িত্ব দেয়া হলে আমরা বেঈমানি করবো না। সরকারি চাকরিতে কোটা প্রসঙ্গে প্রফেসর মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো যেন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোটা বহাল রাখা হয়। কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অর্বাচীন হবে বলে মনে করেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ মো. শাহজাহান আলম সাজু বলেন, শিক্ষকদের ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট বাবদ ৫০০ কোটি টাকা এবং বৈশাখী ভাতা ২০০ কোটি টাকা আগামী নির্বাচনের আগেই শিক্ষকদের একাউন্টে পৌছাঁবে। আমরা চেষ্টা করছি প্রধানমন্ত্রী নিজের মুখে এ বিষয়ে ঘোষণা দেবেন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর মাহবুব আলী। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন শিক্ষক নেতা প্রফেসর মো. সাজিদুল ইসলাম, সাঈদুর রহমান পান্না, অধ্যক্ষ মোনতাজ উদ্দিন মর্তুজা,আব্দুল্লাহ আল মামুন,কামরুজ্জামান,একেএম ওবায়দুল্লাহ, তেলোয়াত হোসাইন,হরিচাঁদ মণ্ডল সুমন, হারুন অর রশীদ,নারায়ণ চন্দ্র দাস,শাহজাহান খান, মাও: সামসুল আলম প্রমুখ।