‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে শিশুদের সতর্ক রাখতে হবে। শিশুরা যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্ত না হয় সেদিকে পরিবারের সদস্যদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।’ গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মিলনায়তনে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য কৌশল পরিকল্পনা ২০২০-২০৩০—প্রণয়ন বিষয়ক এক কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ কথা বলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজম বিষয়ক উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অনেকে উদ্বিগ্ন। অনেক শিশু মাত্রাতিরিক্ত ইউটিউব ও ফেসবুক ব্যবহারে আসক্ত হচ্ছে, যা থেকে তাদের মানসিক সমস্যা আরও বেড়ে যায়।’
অনুষ্ঠানে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন দেশ-বিদেশে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ের নানা তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে অটিজম আক্রান্ত ও মানসিক স্বাস্থ্য হ্রাস পাওয়া শিশুদের সামাজিকভাবে মূল্যায়ন করার ব্যাপারে গুরুত্ব দেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী আ খ ম মহিউল ইসলাম, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. বার্ধন ঝাং রানা প্রমুখ।
ভিটামিন এ নিয়ে ব্রিফিং : একই কক্ষে পরে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে ব্রিফিং করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আগামীকাল শনিবার জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এ ক্যাম্পেইনের আওতায় ৬ মাস থেকে ১১ মাস বয়সী প্রায় ২৫ লাখ শিশুকে একটি করে নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী এক কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মোট এক লাখ ২০ হাজার স্থায়ী কেন্দ্র এবং ২০ হাজার ভ্রাম্যমাণ কেন্দ্র থেকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আগামীকাল ঢাকা শিশু হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।