রাজশাহী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে আট মাস ধরে অধ্যক্ষ নেই। এতে প্রশাসনিক কাজে কিছুটা জটিলতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে মনে করছেন কলেজের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে একাডেমিক কাজে তেমন প্রভাব পড়ছে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীসহ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে কলেজটিতে বিএড ৩০০ জন, এমএড ২৫ জন, বিএড (সম্মান) ১৫০ জন, ২৪ দিন মেয়াদে সরকারি কলেজের ৩০ জন, বেসরকারি কলেজের ৩০ জন এবং স্কুলের ৫টি ব্যাচে ৪০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। আর কলেজটিতে সব মিলিয়ে ৪৮টি পদের মধ্যে অধ্যক্ষ এবং একটি প্রভাষকের (নীতিবিজ্ঞান) পদ শূন্য রয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন উপাধ্যক্ষ শওকত আলী খান।
কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের অধ্যক্ষ হতে হলে বিসিএস ক্যাডার হওয়া ছাড়াও বেশ কিছু যোগ্যতা লাগে। কিন্তু গত বছর সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগে তিনজন অধ্যাপক আদালতে মামলা করেন। সেই মামলা আমলে নিয়ে আদালত নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং কলেজের অধ্যক্ষ অলিউর আলমকে অব্যাহতি দেন।
কলেজের কয়েকজন অফিস কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, অধ্যক্ষ না থাকলে যে খুব বেশি অসুবিধা হয় এমন নয়। তবে থাকলে প্রশাসনিক কার্যক্রম আরেকটু সুন্দরভাবে পরিচালিত হতো। মাঝে মাঝে অবশ্য প্রশাসনিক কার্যক্রমে কিছুটা জটিলতা দেখা দেয়। তবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সেগুলো ভালোভাবেই সামলে নেন। কলেজে একটি প্রভাষকের পদ শূন্য থাকলেও তাতে শিক্ষার্থীদের ওপর কোনো প্রভাব পড়ছে না বলেও জানান তারা।
বৃহস্পতিবার দু'জন শিক্ষার্থী (রাজশাহীর দুটি উপজেলার সরকারি স্কুলের শিক্ষক) ক্লাস শেষ করে বের হয়ে বলেন, কলেজে শিক্ষকের পদ শূন্য আছে কি-না জানি না। তবে আমাদের যে রুটিন দেওয়া হয়েছে, তার যথাযথই ক্লাস হচ্ছে। কলেজের ভেতরে গিয়ে আরও কয়েক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হলে তারাও জানান, ক্লাস তাদের রুটিনমাফিকই হচ্ছে। কলেজের উপাধ্যক্ষ শওকত আলী খান বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, বর্তমানে প্রশাসনিক কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সবকিছু নিয়ে ভালোই চলছে। একটি প্রভাষকের পদ শূন্য থাকলেও এখানে অতিরিক্ত চারজন শিক্ষক সংযুক্তিতে কর্মরত আছেন। তাই ক্লাসের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ট্রেনিং ভালোভাবে চলছে। সরকার যখন এই দুটি পদে নিয়োগ দেবে তখনই তা পূরণ হবে।'