শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ১৫ মাস পার হতে চললেও এখন পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চালু করতে পারেনি উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে কলেজ পর্যায়ের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। সরকারি হিসাবেই দেশের ৮০ শতাংশের বেশি কলেজ এখনো অনলাইন ক্লাস চালু করতে পারেনি।
আরও পড়ুন : দৈনিক শিক্ষাডটকম পরিবারের প্রিন্ট পত্রিকা ‘দৈনিক আমাদের বার্তা’
বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট বক্তৃতায় অন্যান্য খাতের মতো শিক্ষা খাত বিষয়ে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ ও পরিকল্পনা তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সেখানে করোনাকালের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের একটি চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রীর উল্লেখ করা তথ্য অনুযায়ী, করোনাকালের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে কলেজ পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ৪ হাজার ২৩৮টি কলেজের মধ্যে মাত্র ৭০০টিতে অনলাইন ক্লাস চালু হয়েছে। অর্থাৎ ৮৩ শতাংশ কলেজ এখনো অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের বাইরে রয়েছে।
আর ২০ হাজার ৪৯৯টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১৫ হাজার ৬৭৬টিতে অনলাইন ক্লাস চালু রয়েছে। অর্থাৎ এ ধাপটিতে অনলাইন ক্লাস চালু করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হার ৭৬ দশমিক ৪৭ শতাংশ। অনলাইন ক্লাসের হার বেশি হলেও এখনো মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস চালু করা হয়নি। উচ্চশিক্ষা ধাপের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ে বাজেট বক্তৃতায় বলা হয়েছে, ৪২টি সরকারি ও ৯২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ক্লাস চালু রয়েছে। সে হিসেবে প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় এসেছে।
বাজেট বক্তৃতায় অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণের হারও তুলে ধরা হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে অনলাইনে ২৯ লাখ ৯ হাজার ৮৪৪টি ক্লাসের আয়োজন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইনে মোট ৪ লাখ ৯৭ হাজার ২০০টি ক্লাসের আয়োজন করা হয়। এসব ক্লাসে ২ কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার ৪০৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন কেনার জন্য ৪১ হাজার ৫০১ জন শিক্ষার্থীকে সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হয়েছে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব ও ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন