জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ৪র্থ বর্ষের (বিশেষ) ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ফল প্রকাশের আবেদন জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (২১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা চিঠির একটি কপি দৈনিক শিক্ষা ডটকমকে পাঠিয়ে এ তথ্য জানায়।
চিঠিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে আসছি। ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দে আমাদের ১ম বর্ষের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আমাদের শিক্ষাবর্ষ থেকে তিন বিষয়ে পাস করলে ২য় বর্ষে প্রমোটেড এই নিয়ম চালু হয়। আমরা যারা ২য় বর্ষে উত্তীর্ণ হতে পারি নাই তারা স্বাভাবিকভাবেই পরের শিক্ষাবর্ষের সঙ্গে পরীক্ষা দেয়ার কথা। কিন্তু আমাদের পরীক্ষা ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের প্রথম বর্ষের পরীক্ষার সঙ্গে না নিয়ে ২০১৪ খ্রিষ্টাব্দের ১ম বর্ষ (বিশেষ) নামে ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে আলাদা একটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এভাবে ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ২০১৫-২য় বর্ষ বিশেষ, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ২০১৫-৩য় বর্ষ বিশেষ ও ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে ২০১৭-৪র্থ বর্ষ বিশেষ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
তারা বলেন, ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৪র্থ বর্ষ বিশেষ পরীক্ষায় আমরা যারা ৪র্থ বর্ষ পাস করতে পারিনি তারা ২০১৮-অনার্স ৪র্থ বর্ষের বিশেষ পরীক্ষায় ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ফেব্রুয়ারিতে অংশ নেই। আমাদের মৌখিক পরীক্ষা মার্চে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোন ভাইরাসের কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের জীবন থেকে মহামূল্যবান ৭টি বছর চলে গেছে। কিন্তু আমরা এখনও অনার্স শেষ বর্ষের ফল পাইনি। আমরা এখন পর্যন্ত সরকারি-বেসরকারি চাকরিগুলোতে ফলের জন্য আবেদন করতে পারি না। আমাদের অনেকের পরিবারে উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নেই। আমরা অনেকেই টিউশন করে জীবিকা নির্বাহ করি। এত দীর্ঘ সময়ের কারণে আমাদের চাকরির বয়সও প্রায় শেষের দিকে।
এ অবস্থায় চিঠিতে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে মৌখিক পরীক্ষা নিয়ে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের অনার্স ৪র্থ বর্ষের বিশেষ পরীক্ষার ফল ঘোষণা করার আবেদন জানান ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা।