অনুশীলনমূলক বই নিষিদ্ধ করাই কী সমাধান? - দৈনিকশিক্ষা

অনুশীলনমূলক বই নিষিদ্ধ করাই কী সমাধান?

মাছুম বিল্লাহ |

দেশের সংবাদপত্রগুলো এক চমক দেয়া হেডিং প্রকাশ করেছে ‘অনুশীলনমূলক বই নিষিদ্ধ হচ্ছে’। আমাদের কর্তাব্যক্তিরাও হঠাৎ চমক দেয়া কথা বলেন। এসব চমকের মাহাত্ম্য আমরা সাধারণ মানুষ বুঝি না। আমরা বুঝি ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য কিন্তু আমরা শুধু ভাত খাই না। ভাতকে হজম করার জন্য, সুপাচ্য ও সুস্বাদু করার জন্য ভাতের সাথে ডাল, তরকারি, মাছ, মাংস, দুধ ইত্যাদি খেয়ে থাকি। শুধু ভাতে তৃপ্তি হয় না, পেট ভরে না, পুষ্টির চাহিদা মেটে না। একইভাবে শুধুমাত্র ক্লাসের বই, শুধুমাত্র এনসিটিবির বই শিক্ষার্থীদের চাহিদা মেটাতে পারে না। বইয়ের পাঠকে আকর্ষণীয় ও বোধগম্য করার জন্য সহায়ক বই শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষকদের পড়তে হয়।

প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এবং কলেজে একটি করে বিরাট লাইব্রেরি থাকে, থাকতে হয়। সেটি কেন? কোর্সের বই, বিভাগীয় বইতো যথেষ্ট হওয়ার কথা ছিল। তাহলে শিক্ষকদের, শিক্ষার্থীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইব্রেরিতে কাটাতে হয় কেন? তারা যখন অর্থনীতি পড়ে, রবীন্দ্রনাথ, শেক্স্রপিয়ার পড়ে সেই বই তো যথেস্ট ছিল। না শুধুমাত্র সেই বইগুলোই যথেষ্ট নয়। বিখ্যাত লেখকদের বই, গল্প, প্রবন্ধ, উপন্যাস ইত্যাদি পড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন সমালোচক, লেখকদের পড়া পড়তে হয় বিষয়টির গভীরে যাওয়ার জন্য, জ্ঞানের দিগন্ত প্রসারিত করার জন্য, বিষয়টির পক্ষে বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনা লেখা যায় সে বিষয়ে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য। একটি বিষয় সম্পর্কে বিভিন্ন লেখকের লেখা জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধি করে, শিক্ষার্থীর লেখাকে সমৃদ্ধ করে। শিক্ষার্থীদের যদি শুধুমাত্র এনসিটিবির বই দিয়েই জ্ঞানের রাজ্য সংকুচিত করে দেয়া হয় তাহলে শিক্ষার্থীদের চিন্তার জগৎ, সৃজনশীলতার জগৎ, অনুধাবন ও কল্পনার জগৎ সংকুচিত হতে হতে একেবারে প্রান্তিক পর্যায়ে চলে যাবে।

প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন-২০১৯ এ শিক্ষা সহায়ক অনুশীলনমূলক বইকে নোট গাইড হিসেবে আখ্যায়িত করে নিষিদ্ধের কথা শোনা যাচ্ছে। এতে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী এমনকি শিক্ষাবিদরাও। শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের ঘাটতি, শিক্ষক স্বল্পতা ইত্যাদি কারণে অনুশীলনমূলক বই শিক্ষার্থীদের কাছে বিশেষ করে মফস্বলের ও প্রত্যন্ত গ্রামের শিক্ষার্থীদের কাছে এসব বই অপরিহার্য হয়ে উঠেছিল। অনুশীলনমূলক বই প্রকাশনার সাথে সরাসরি জড়িত ৪ লাখ ৬২ হাজার পরিবার। এটি নিষিদ্ধ করা হলে লাখ লাখ মানুষের জীবন জীবিকা হুমকির মধ্যে পড়বে। বাংলাদশে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ সভাপতি বলেছেন, “এসব গ্রন্থ প্রকাশ ও
বিক্রির সঙ্গে অন্তত ৮টি পেশার ২৩ লাখ ১০ হাজার মানুষ জড়িত। এই খাতে সাড়ে ২১ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে। এসব গ্রন্থও প্রকাশণা বন্ধ করা হলে সরকার একদিকে শত কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবে। আরেকদিকে অসংখ্য কর্মহীন মানুষের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হবে।”

অনুশীলনমুলক বইয়ের ওপর নির্ভরশীলতা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। এ পরিস্থিতির পেছনে র্দীঘদিনের পুঞ্জীভূত কারণ আছে। সেসব সমস্যার সমাধান রাতারাতি সম্ভব নয়। সুতরাং শিক্ষার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সুচিন্তিত, দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এসব বই বন্ধ করে দেয়া মানে শিক্ষার্থীদের হাত থেকে শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নেয়া। দেশের ৯৫শতাংশ শিক্ষার্থী এই বই পড়ছে। ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের এক প্রতিবেদনে দেখা যায় সৃজনশীল পদ্ধতি চালুর এক দশক পরেও ৪২ শতাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাই এখনও সঠিকভাবে বিষয়টি বুঝেন না, প্রশ্ন করা তো দূরের কথা। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের এস এস সি পরীক্ষায় দেখা যায়, বাংলা প্রথম পত্রের প্রশ্ন হুবহু বাজারের গাইড থেকে প্রশ্ন তুলে দেয়া হয়েছে। এর অর্থ কী বা এর কারণ কী? এই অনুশীলনমূলক বই যারা লিখেন তারা মোটামুটি ভালো শিক্ষক। অন্যান্য শিক্ষকরা এসব বই থেকে এখনও সাহায্য নেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় অনেক সমস্যা বিদ্যমান। সেগুলোর মধ্যে দুটি সমস্যা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বাজারে প্রচলিত অনুশীলনমূলক বই পড়ে থাকে। শহরের বিদ্যালয়গুলোতে একটি শ্রেণিকক্ষে একশতের বেশি শিক্ষার্থী। একজন শিক্ষক ঐ ক্লাসের ডিসিপ্লিন রক্ষা করতেই সময় যায়, পড়াবেন কখন? যাদেরকে পড়ান তার মধ্যে কতজনকে তারা নিবিড়ভাবে সময় দিতে পারেন? 

এসব কারণে শিক্ষার্থীরা ছুটছে কোচিং সেন্টারে আর পড়ছে সাহায্যকারী বই। গ্রামাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে শুধু শিক্ষক স্বল্পতা নয়, অধিকাংশ শিক্ষকদের মান নিয়ে রয়েছে বিরাট প্রশ্ন। এটি একটি বাস্তবতা। এই বাস্তবতাকে আমরা অস্বীকারও করতে পারব না, এড়াতেও পারব না। একটি শ্রেণিকক্ষে ক’জন নিয়মিত, মেধাবী এবং সৃজনশীল শিক্ষার্থী থাকে? সৃজনশীলতা অনেকের ভেতরে থাকলেও শিক্ষা জীবনে পরিবেশের কারণে ক’জন তা প্রকাশ করতে পারে? হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থী হয়তো সবকিছুকে ছাপিয়ে তাদের সৃজনশীলতা প্রকাশ করতে পারেন, ভালো ফল করতে পারেন। তারা হয়তো ইঞ্চিনিয়ারিং, চিকিৎসা শাস্ত্র পড়াশুনা করে ওইসব লাইনে চলে যান। কেউ কেউ যান প্রশাসনে, কেউ বিদেশে। শিক্ষকতায় কম সংখ্যক অসতে চান। তারও বাস্তব কারণ আছে যা আমাদের জানা। এই পরিস্থিতিতে লাখ লাখ শিক্ষার্থীদের শিক্ষকদের চেয়ে নির্ভর করতে হয় বাজারে প্রচলিত সহায়ক বা অনুশীলনমূলক বইয়ের ওপর।

আগেকার দিনে কলেরা হলে রোগীকে পানি খেতে দিত না ডাক্তাররা। পানির অভাবেই অনেক রোগী মারা যেত। পরে আবিষ্কৃত হলো কলেরা হলে রোগীকে স্যালাইন পানি খেতে দিতে হবে। এখন তাই করা হচ্ছে। আমাদের শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল হচ্ছে না তার কারণ কি বাজারের অনুশীলনমূলক বইয়ের উপস্থিতি? বিষয়টি তা নয়। এ কারণ বহুবিধ এবং অনেক গভীরে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় তথা সরকারকে সেসব কারণ বের করতে হবে। তবে, এসব কারণ বের করে সমাধান দেয়া খুব সহজ কাজ নয়। বই রেশনিং করে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বর্তমানে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বই বিনা মূল্যে সরবরাহ করা হয়। এটি ভালো পদক্ষেপ। কিন্তু তার পরেও ‘কিন্তু’ আছে। 

আমি এনসিটিবির এক কর্মকর্তাকে বললাম, “আমরা শিক্ষা নিয়ে কাজ করি, অন্যান্য বইয়ের সাথে এনসিটিবির বইতো আমাদের প্রয়োজন। কীভাবে পাব। আগেতো বাজার থেকে কিনে নিতাম। এখন কি করব? বইতো বাজারে পাওয়া যায় না। উনি বললেন, বছরের প্রথম দিকে আপনাকে চাহিদা দিতে হবে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। আমি বললাম আমি তো ঢাকায় ব্র্যাকের প্রধান কার্যালয়ে বসি। আমি কার কাছে গিয়ে বইয়ের চাহিদা দিব। বললেন, খুঁজে দেখেনে ঢাকার কোন এলাকায় শিক্ষা কর্মকর্তা বসেন। ওনার অফিসে গিয়ে চাহিদাপত্র দিতে হবে, কারণ দর্শাতে হবে আমি কেন বই চাই। তারপর এক বছর পর ওনার অফিসে গিয়ে বই নিয়ে আসতে হবে।” শিক্ষার ক্ষেত্রে কি চমৎকার রেশনিং ব্যবস্থা! রেশনিং যেখানে প্রয়োজন সেখানে আমরা পারছি না, শিক্ষার ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় রেশনিং করছি। শিক্ষাকে আমরা এত রেশনিংএর মধ্যে নিয়ে এলাম কেন? এতে কতটা উপকার হয়েছে? 

আর শহরে যারা থাকনে তাদের জন্য ওয়েবসাইটে বই দেয়া আছে। কিন্তু সে বই ডাউনলোড করতে শুধু ঘন্টা নয় দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। আবার মাঝে মাঝে ওয়েবসাইট থেকে বই উধাও। একুশে বই মেলায় বহু ধরনের বই প্রকাশিত হয়। অনেকের বই চলে, অনেকের তেমন একটা চলে না, অনেকের বই একেবারেই চলে না। কেউ কেউ বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দেন, পেপারে ও টিভিতে। কেউ কেউ টিভিতে আলোচনার জন্য বিভিন্ন ফন্দি ফিকির করেন। কিন্তু পাঠক যে বইটি ভালো লাগে সেটিই কেনেন। সব বই তো চলবে না। অনুশীলনমূলক বইয়ের ক্ষেত্রে সরকার কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে। কিছু নির্দেশনা দিতে পারে। কিন্তু বই একেবারে নিষিদ্ধ করা কতটা যুক্তিসঙ্গত?

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মূল বিষয়গুলোর দিকে লক্ষ রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা যাতে শ্রেণিকক্ষে, বিভিন্ন সূত্র থেকে তাদের পড়াশুনার বিষয় ভালোভাবে জানতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশের পত্রিকাগুলো এক্ষেত্রে ভালো ভূমিকা রাখতে পারে। টিভি চ্যানেলগুলো ভালো ভূমিকা রাখতে পারে। বর্তমানে পত্রিকাগুলো যেসব প্রশ্ন ছাপে সেগুলো হুবহু নোট গাইড থেকেই কিছু বিদ্যালয়ের শিক্ষক তুলে দেন, নিজেরা প্রশ্ন তৈরি করেন না। দু’ একটি টিভিতে ঢাকা শহরের কিছু শিক্ষক মডেল ক্লাস পরিচালনা করেন। আমি, সেগুলো দেখেছি। কিন্তু একেবারেই ট্র্যাডিশনাল ক্লাস। শুধু সংজ্ঞা দিচ্ছেন, আর পড়াতেই থাকছেন। শিক্ষার্থীদের যে, কাজে অংশগ্রহণ করাতে হবে, তাদের বেশি বেশি সুযোগ দিতে হবে এই বিষয়টি সেখানে ঘটছে না। তাদের ক্লাস দেখে গ্রামের শিক্ষকদের খুব একটা কিছু শেখার নেই। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব বিষয়ে দৃষ্টি দিলে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা উপকৃত হবেন।

সবশেষে যেটি করতে হবে তা হচ্ছে মানসম্পন্ন প্রশ্ন। প্রশ্ন তৈরি করা সহজ কাজ নয়। সব শিক্ষক প্রশ্ন তৈরি করতে পারেন না। তবে, সব শিক্ষক যাতে প্রশ্ন তৈরি করতে পারেন, তাদেরকে সেভাবে তৈরি করতে হবে। সেটি করতে হলে প্রয়োজন হবে, মোটিভেশন, উৎসাহ প্রদান, প্রশিক্ষণ, তাদেরকে টার্গেট দিয়ে পড়াশোনা করানো। নিয়মিত সকল শিক্ষকদের ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে মাসে একবার কিংবা দুইমাসে একবার সকল শিক্ষকের দিয়ে ‘ডিমনেস্ট্রশন’ক্লাস পরিচালনা করানো। তাহলে তারা পড়াশানা করবেন, সাহস পাবেন, নিজেরা তৈরি হবেন।

বিদ্যালয় থেকে বোর্ড পর্যন্ত প্রশ্ন এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেগুলোর উত্তর দিতে শিক্ষার্থীদের মূল বই যাতে অবশ্যই পড়তে হয়, নিজের চিন্তা চেতনার ও সৃজনশীলতার ছাপ উত্তরপত্রে ফুটে উঠে। বই সামনে দিলেও যাতে নিজের মতো করে উত্তর লিখতে হয়, প্রশ্ন হবে এমন ধরনের। সে কোথা থেকে পড়ল বা শিখল সেটি বিষয় নয়, বিষয় হচ্ছে সে প্রকৃত বিষয়টি বুঝেছে কিনা তার প্রমাণ নিতে হবে। দেশের পত্র পত্রিকাগুলোতে বিভিন্ন ধরনের বাস্তবভিত্তিক সমস্যা ও সমাধানের কথা বলা হয়, বিভিন্ন জন লিখে থাকেন। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের চোখে সেগুলো ধরা পরে কি না জানি না। তবে, যে রোগ তার আসল চিকিৎসা প্রয়োজন। মাথা ব্যাথা হলে প্রয়োজন উপসর্গ অনুযায়ী ঔষধ প্রয়োগ করা, মাথা কেটে ফেলা নয়।

 

লেখক : মাছুম বিল্লাহ, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত সাবেক ক্যাডেট কলেজ ও রাজউক কলেজ শিক্ষক।

শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় - dainik shiksha শুক্রবার স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি, জানালো শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় - dainik shiksha স্কুল-কলেজ শিক্ষকদের এপ্রিল মাসের এমপিওর চেক ছাড় গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটে প্রথম লামিয়া প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ - dainik shiksha প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের চূড়ান্ত ফল আগামী সপ্তাহ ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল - dainik shiksha ছাত্রলীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিলিস্তিনের পতাকা উড়াবে কাল চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন - dainik shiksha চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রী যা জানালেন গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ - dainik shiksha গুচ্ছের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাস ৩৬.৩৩ শতাংশ কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0055558681488037