কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের হাওরে অবস্থিত বাহেরবালী এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক এম এ কাসেমকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎসহ নানা অপকর্মের অভিযোগে বৃহস্পতিবার স্কুল পরিচালনা কমিটি তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ থেকে জানা যায়, এম এ কাসেম কয়েক দফায় স্কুল তহবিলের প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। স্কুলের জন্য বরাদ্দ ল্যাপটপ ও মনিটর স্কুলে না এনেই বিক্রি করে দেন। বর্ষাকালে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য দেয়া একটি ডিঙ্গি নৌকা ও একটি ইঞ্জিন এবং আটটি সিলিং ফ্যান বিক্রি করে দেন। মাসে তিন-চার দিন স্কুলে উপস্থিত থাকলেও কোনো ক্লাস নেন না। স্থানীয় সংসদ সদস্যের দেয়া একটি প্রকল্পের কাজ না করেই দেড় লাখ টাকা মেরে দেন কাসেম।
অভিযোগে আরও বলা হয়, শিক্ষকদের টিউশন ফির ৬৯ হাজার টাকাও আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক। স্কুলের স্টোরে রাখা বোর্ডের বই বিক্রি করে দেন। ৭ই মার্চ স্কুলে কর্মসূচি পালন করা হলেও তিনি ওই দিন স্কুলে না গিয়ে পরদিন বঙ্গবন্ধুর ছবিসংবলিত ব্যানার নামিয়ে ফেলেন। অবৈধভাবে একজন কর্মচারীও নিয়োগ দেন তিনি। শিক্ষকরা জানান, অর্থলোভী এই ব্যক্তি নারী কেলেঙ্কারিতেও জড়িত।
স্কুল কমিটির সভাপতি সভাপতি মো. আ. বাছির মিয়া বলেন, ‘স্কুলের তহবিলের অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপকীর্তির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক এম এ কাসেমকে কয়েক দফা কারণ দর্শাও নোটিশ দিলেও তিনি হিসাব দিতে পারেননি। সব মিলিয়ে স্কুলের ১২ লাখ টাকার মতো প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেছেন বলে প্রমাণ আছে। এসব কারণে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে সন্তোষজনক জবাব না দিলে তাঁকে পূর্ণাঙ্গ বহিষ্কার করা হবে।’