বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সুষ্ঠভাবে নিয়োগ সম্পন্ন করার জন্য সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এমপিও নীতিমালা-২০১৮। নীতিমালায় বলা হয়েছে শিক্ষক নিয়োগে বয়সের সময়সীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর। এরপর কেউ এমপিও ভুক্ত হতে পারবে না।
এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগের বয়সসীমা ৩৫ করা হলে একজন প্রার্থীর নিবন্ধন পরীক্ষা, মৌখিক, ফলাফল এবং প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ নিতে ৩৫ বছর অতিক্রান্ত হবে। সেক্ষেত্রে ঐ প্রার্থী কি আদৌ এমপিও'র জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন না? এখন প্রশ্ন হচ্ছে যারা ইতিমধ্যে সনদ লাভ করেছেন তারা কি এমপিও নীতিমালা-২০১৮ এর গ্যাঁড়াকলে আটকা পড়বেন? কারণ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) তাদের নোটিসে বারবার ঐ নীতিমালা অনুসরণ করতে বলেছে। কিন্তু একজন প্রার্থীর বয়সসীমা পরীক্ষায় অবতীর্ণ হবার সময় নির্ধারিত থাকে। নির্বাচিত হবার পরে অবশ্যই বয়সের মাপকাঠি থাকে না। তাহলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং এনটিআরসিএ কাদের জন্য ৩৫ বছর নির্ধারণ করছে তা সাধারণ নিবন্ধনধারীদের বোধগম্য হচ্ছে না।
এ অবস্থায় যারা ৩৫+ নিবন্ধনধারী, তারা হতাশায় পড়েছেন এবং আবারও আদালতের শরণাপন্ন হওয়ার চিন্তা করছেন। কারণ, আদালত তার রায়ে যেখানে সনদের মেয়াদ আজীবন করেছে, সেখানে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিভাবে নীতিমালায় বলে যে ৩৫এর পরে এমপিওভুক্তি হবে না? এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্পষ্টীকরণ আদেশ করা দরকার। নয়তো ৩৫+ নিবন্ধনধারীরা আবার আদালতের দ্বারস্থ হলে সারাদেশের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়া আরো কয়েক বছরের জন্য পিছিয়ে যাবে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের তথা শূণ্য পদ থাকা প্রতিষ্ঠান গুলোর বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের চাহিদা আরো প্রকট হবে। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবে।
তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এমপিও নীতমালা-২০১৮তে বয়সের দ্বিধা-দ্বন্দ্ব অবিলম্বে দূরীভুত করে নিয়োগ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার আহ্বান জানাই।
লেখক: ভূপেন্দ্র নাথ রায়, অধ্যক্ষ, সাইডীরিয়্যাল মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, খানসামা, দিনাজপুর।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন]