আবরার হত্যা : রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বুয়েট শিক্ষার্থীদের - দৈনিকশিক্ষা

আবরার হত্যা : রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি বুয়েট শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক |

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের দুই বছর তিন মাস পর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে ২৫ আসামির মধ্যে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঢাকা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে সাজাপ্রাপ্ত তিন পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করে সব আসামির সাজা দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থীরা।

আবরার হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা এই দাবি জানান।

ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আবরারের সহপাঠী শিহাব। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, 'ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে তার রুম থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে সারারাত নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করে বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

আমরা, বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা, শুরু থেকেই এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিচার দাবিতে সোচ্চার ছিলাম এবং একই সঙ্গে বিজ্ঞ আদালতের প্রতি আস্থাশীল ছিলাম। আজ আমরা কিছুক্ষণ আগে বিজ্ঞ আদালতের রায় সম্পর্কে অবগত হয়েছি। রায়ে চার্জশিটভুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। আমরা মনে করি, এই রায়ের মাধ্যমে সবার আস্থার প্রতিফলন ঘটেছে। আমরা এই রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি এবং আবরারের পরিবারের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আশাবাদ ব্যক্ত করছি যে, এই রায় শেষ পর্যন্ত বহাল থাকবে এবং এই রায় বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।'

শিহাব বলেন, 'সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে তিনজন (এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মুজতবা রাফিদ, মোর্শেদ-উজ-জামান মন্ডল জিসান) এখনো পলাতক। আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি, পলাতক তিনজনকে দ্রুততম সময়ে আইনের আওতায় আনা হোক।'

শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতে বাংলাদেশের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষক কাউকেই যেন রাজনৈতিক অপসংস্কৃতির বলি না হতে হয় এবং সকল ক্ষেত্রে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ যেন বজায় থাকে। আবরার ফাহাদ মারা যাওয়ার পর ক্যাম্পাসে র‌্যাগিং সংস্কৃতি বন্ধ হয়েছে। আবরার জীবন দিয়ে আমাদের জন্য একটি নিরাপদ ক্যাম্পাস দিয়ে গেছে।'

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ৫ অক্টোবর বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে বিভিন্ন চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন আবরার ফাহাদ রাব্বী। এর জের ধরে পরদিন ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র ও তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরারকে তার কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মী। তারা আবরারের ১০১১ নম্বর রুমে গিয়ে রাতে তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তার ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোনসহ ২০১১ নম্বর রুমে নিয়ে আসে। এরপর ওই কক্ষে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরদিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে ১৯ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি - dainik shiksha রোববার থেকে সরকারি প্রাথমিকে মর্নিং স্কুল, খোলার প্রজ্ঞাপন জারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে - dainik shiksha প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শনিবারের ছুটি বহাল থাকছে ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী - dainik shiksha গরমে কলেজে কোচিং, দুদিনে অসুস্থ ৮ ছাত্রী কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা - dainik shiksha নিবন্ধিত শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির নতুন নির্দেশনা দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট - dainik shiksha জাল সনদে চাকরি করছে কয়েক হাজার হেলথ টেকনোলজিস্ট ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ফের আন্দোলনের হুশিয়ারি চুয়েট শিক্ষার্থীদের আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ - dainik shiksha আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক নেতা কাওছার শেখ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0037050247192383