ইউনাইটেডে খতনা করাতে গিয়ে মৃত্যু: বিচার নিয়ে শঙ্কা আয়ানের বাবার - দৈনিকশিক্ষা

ইউনাইটেডে খতনা করাতে গিয়ে মৃত্যু: বিচার নিয়ে শঙ্কা আয়ানের বাবার

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: রাজধানীর বাড্ডার সাঁতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুন্নতে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক ও অভিযোগকারী আয়ানের বাবা শামীম আহমেদের বক্তব্য শুনেছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। গত বুধবার এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক ডা. তাসনুবা মেহজাবিন ও ডা. সাঈদ সাব্বির নিজেদের পক্ষে বক্তব্য তুলে ধরেন। পাশাপাশি আয়ানের বাবা শামীম আহমদের বক্তব্যও শোনে বিএমডিসি।

শুনানির পর শিশু আয়ানের বাবা গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বললেও এড়িয়ে যান অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক। এ সময় বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আয়ানের বাবা সাংবাদিকদের বলেন, 'ঘটনার এক মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেছে। এখনো কোনো অগ্রগতি নেই। ন্যায় বিচার পাব কিনা শঙ্কায় আছি।'

শামীম আহমেদ বলেন, 'অভিযুক্ত দুই চিকিৎসকের রেজিষ্ট্রেশন বাতিল করার জন্য বিএমডিসিতে আবেদন করেছিলাম। বিএমডিসি ঘটনার বিবরণ শুনতে ডেকেছে। আমরা বিবরণ দিয়েছি। আমাদের দাবি, এই দুই ডাক্তারের সনদ বাতিলসহ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হোক।'

বিচার প্রক্রিয়া যেভাবে এগোচ্ছে। তাতে সন্তুষ্ট কিনা প্রশ্নের জবাবে আয়ানের বাবা বলেন, 'আসলে ঘটনা ১ মাসের বেশি সময় পার হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো অগ্রগতিই নেই।
পাশাপাশি কাউকে গ্রেপ্তার তো দূরের কথা, অভিযুক্ত সবাই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাসপাতালের পরিচালকসহ কাউকেই গ্রেপ্তার করেনি এখনো।' তিনি বলেন, 'আয়ানের মৃত্যুয় ঘটনায় মামলা করার পর এমন একটা পর্যায় দাঁড়িয়েছি: ঠিকমতো বাসায়ও থাকতে পারছি না। তারা বাসায় গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এখন আমরা ঘরছাড়া হয়ে গেছি।'

এ সময় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আয়ানের বাবা। বলেন, ' আসলে সুষ্ঠু বিচার পাব কিনা সন্দেহ।'
বিএমডিসি শৃঙ্খলা কমিটির চেয়ারম্যান ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী বলেন, 'শিশু আয়ানের বাবার অভিযোগের বিষয়ে অভিযোগকারী ও যেসব চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের বক্তব্য আমরা শুনেছি। এখন আমাদের আরও কিছু কাগজপত্র প্রয়োজন হাসাপাতালের। আর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত আমাদের জানা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞদের মতামত, হাসপাতালের কাগজপত্র ও অভিযোগকারী এবং দুই চিকিৎসকের বক্তব্যসহ সব মিলিয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত দিব। তবে কতদিন সময় লাগতে পারে, তার সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ নেই।'

অভিযুক্ত দুই চিকিৎসকের সনদ স্থগিত করা হবে কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমাদের কাজের পরিধি, সক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবস্থা করব। আর দুই চিকিৎসক অভিযুক্ত কে বলেছে? আমাদের (বিএমডিসি) কাছে তো তারা এখনো অভিযুক্ত নয়। আমাদের প্রক্রিয়া এখনো চলমান। অন্য কোনো জায়গায় অভিযুক্ত হলে হতে পারে, আমাদের জানা নেই।

এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে - dainik shiksha এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জের আবেদন যেভাবে পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি : শিক্ষক নিয়োগে আবেদন ২৩ হাজারের বেশি - dainik shiksha পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তি : শিক্ষক নিয়োগে আবেদন ২৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী মূল্যায়ন: ৬৫ শতাংশ লিখিত, ৩৫ কার্যক্রমভিত্তিক - dainik shiksha শিক্ষার্থী মূল্যায়ন: ৬৫ শতাংশ লিখিত, ৩৫ কার্যক্রমভিত্তিক একাদশে ভর্তি আবেদন ২৬ মে থেকে ১১ জুন - dainik shiksha একাদশে ভর্তি আবেদন ২৬ মে থেকে ১১ জুন ইবতেদায়ি মাদরাসার হালনাগাদ তথ্য চেয়েছে অধিদপ্তর - dainik shiksha ইবতেদায়ি মাদরাসার হালনাগাদ তথ্য চেয়েছে অধিদপ্তর ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি - dainik shiksha ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণির ষান্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়নের সূচি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে - dainik shiksha একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে শিক্ষা ক্যাডারের নির্বাচনী হাটে এমপিও শিক্ষকের কপাল ফাটে - dainik shiksha শিক্ষা ক্যাডারের নির্বাচনী হাটে এমপিও শিক্ষকের কপাল ফাটে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0057189464569092