বাবা মাদকের ব্যবসা করে। তার স্কুলপড়ূয়া মেয়েকে দিয়ে মাদকদ্রব্যের চালান এখানে-সেখানে পৌঁছে দিত বাবা।
শুক্রবার রাতে কিছু ইয়াবা নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছে দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে স্কুলপড়ূয়া ছাত্রীটি। ধরা পড়ার পর দ্রুত সে খবরটি তার বাবাকে মোবাইল ফোনে জানিয়ে দিয়ে বলে, 'বাবা আমাকে পুলিশ আঙ্কেল ধরে ফেলেছে।'
পুলিশ তাৎক্ষণিক তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনসেটটি কেড়ে নেয়। মাদকদ্রব্য ধরার পুলিশের ওই অভিযানটি ঘটে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার চৌরাস্তা এলাকায়। পুলিশ এ সময় মেয়েটির দেহ তল্লাশি করে লুকিয়ে রাখা ৪০৫টি ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
মেয়ের বাবা রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রফিকুলের বিরুদ্ধে নান্দাইল মডেল থানায় মাদকের পাঁচটি মামলা রয়েছে।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর আহম্মেদ বলেন, খবর পেয়ে মেয়েটির পেছনে সোর্স লাগানো হয়। তবে মেয়েটি বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে আখাউড়া থেকে নান্দাইল চৌরাস্তায় আসে। পরে একটি ইজিবাইকে মহাসড়ক দিয়ে ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিল সে।
সে সময় সোর্সের ইশারায় এক নারী পুলিশ মেয়েটিকে আটক করে; কিন্তু আটকের খবরটি সে দ্রুত মোবাইল ফোনে তার বাবাকে জানিয়ে দেয়। এ কারণে তার বাবাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় আটক মেয়েসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
মেয়েটিকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল শনিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।