প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে শিক্ষার্থীদের পরিবারকে ঘুষ দিতে হয় প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার। বিবিসির প্রতিবেদনে এরকম ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগ উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ফুটবল কোচ অভিযোগ করে বলেন, অবৈধভাবে অ-অ্যাথলেটিক শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য প্রায় ৪ লাখ মার্কিন ডলার ঘুষ গ্রহণ করা হয়েছিল। ভর্তি কেলেঙ্কারির মামলায় এই মাসের শুরুতে সেলিব্রেটি অভিভাবক লরি লাফলিন এবং ফেলিসিটি হ্যাফমেনকে অভিযোগ করা হয়েছিল।
তবে এই দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট রাজ্যের অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বলেছে, এই বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে বোঝা যাবে। ঘুষ গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অভিযোগে অভিযুক্ত ৫০ জনের মধ্যে একজন নারী কোচ রুডি মেরেদিথ গত নভেম্বরে পদত্যাগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়েছে, রুডি মেরেদিথ টাকার বিনিময়ে দুইজন আবেদনকারীকে ভর্তির অনুমোদন দিয়েছিল। তবে দুই শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন ভর্তি হয়েছিল অন্যজন মানা করে দেয়। সোমবার অনুসন্ধানের পর যে শিক্ষার্থী ভর্তি বাতিল করেছিল তার নাম প্রকাশ করেনি বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
এ ঘটনার পর ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া, স্ট্যানফোর্ড এবং জর্জটাউনসহ অনেক শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুষ গ্রহণ করে ভর্তির অভিযোগ উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ভর্তি জালিয়াতির মধ্যে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ থেকে শুরু করে অ্যাথলেটিক না হয়ে স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগও দেয়া হয়ে থাকত।
আদালতের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ঘুষের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করে আসছিল ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়।