উচ্চশিক্ষায় ২ দশমিক ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী - দৈনিকশিক্ষা

উচ্চশিক্ষায় ২ দশমিক ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার শূন্য দশমিক ৪৬ শতাংশ মানুষ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী। তবে উচ্চশিক্ষায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছেন ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। এসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হোন। এর মধ্যে অন্যতম হলো ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারে বাধা। যেহেতু শিক্ষা ক্রমবর্ধমানভাবে ডিজিটালাইজ হচ্ছে, ফলে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীরা দৈনন্দিন পাঠ্যক্রম গ্রহণে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মাঝে ভিজুয়ালি ইম্পেয়ার্ড পিপলস সোসাইটির (ভিপস) পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে আসে। 

শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ‘উচ্চশিক্ষার জন্য প্রযুক্তি ব্যবহারে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জ ও প্রতিবন্ধকতা : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদনটির অংশীজনদের অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

২০২১ খ্রিষ্টাব্দে চালানো এ জরিপে দেখা যায়, ৫২ দশমিক ১১ শতাংশ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী সীমিত পারিবারিক আয়ের কারণে উচ্চশিক্ষার জন্য প্রযুক্তি কেনায় বাধার সম্মুখীন হোন। এছাড়া ৯২ দশমিক ৯৬ শতাংশ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী তাদের উপযোগী পাঠ্য উপকরণ পাচ্ছেন না। আর ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের উপযোগী ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করতে পারেন না। এতে ৯১ দশমিক ৫৫ শতাংশ দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মনে করেন, দক্ষ প্রশিক্ষকের অভাব রয়েছে। আর ৩৫ দশমিক ২১ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, প্রযুক্তিগত বাধা রয়েছে। এছাড়া ৫৩ দশমিক ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। 

গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের উচ্চশিক্ষায় বাধা দূর করতে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দান, বিশ্ববিদ্যালয়ে সহায়ক প্রযুক্তি নির্ভর রিসোর্স সেন্টার স্থাপন এবং বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি সংস্থা ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সমন্বয় করা প্রয়োজন। ভিপসের রেজমিন ইমরোজ, আরিফ হোসেন ও মুনতাহা ফারিন এ গবেষণাটি পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে গবেষণার ফলাফল তুলে ধরেন তারা।

ভিপসের সভাপতি মোশাররফ হোসেন মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অমিতের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক (সামাজিক নিরাপত্তা) ড. মোকতার হোসেন। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ইয়ুথ এঙ্গেজমেন্ট ইন ডেমোক্রেসি প্রকল্প ও গ্লোবাল রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটিংয়ের সহায়তায় গবেষণাটি পরিচালিত হয়।

দেরিতে এসে স্বপ্নভঙ্গ গুচ্ছে ভর্তিচ্ছু অনেকের - dainik shiksha দেরিতে এসে স্বপ্নভঙ্গ গুচ্ছে ভর্তিচ্ছু অনেকের নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ ৭ দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের মানববন্ধন - dainik shiksha নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ ৭ দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের মানববন্ধন কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সম্মতি প্রধানমন্ত্রীর - dainik shiksha জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সম্মতি প্রধানমন্ত্রীর প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গ্রেফতার - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ নিজের শিক্ষককে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢাবি শিক্ষক, প্রশংসায় ভাসছে ফেসবুক - dainik shiksha নিজের শিক্ষককে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢাবি শিক্ষক, প্রশংসায় ভাসছে ফেসবুক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0031979084014893