উত্তরপ্রদেশ মাদরাসা আইন বাতিল এলাহাবাদ হাইকোর্টে - দৈনিকশিক্ষা

অসাংবিধানিক ও ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থীউত্তরপ্রদেশ মাদরাসা আইন বাতিল এলাহাবাদ হাইকোর্টে

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক |

দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশে ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে চালু হওয়া মাদরাসা শিক্ষা আইনকে ‘অসাংবিধানিক এবং ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শের পরিপন্থী’ বলল এলাহাবাদ হাই কোর্ট। আবেদনকারী অংশুমান সিংহ রাঠৌরের মামলার প্রেক্ষিতে বিচারপতি বিবেক চৌধুরি ও বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থীর বেঞ্চ গত শুক্রবার এই নির্দেশ দেয়।

সমাজবাদী পার্টির প্রধান মুলায়ম সিংহ যাদব মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন কার্যকর হয়েছিল ‘উত্তরপ্রদেশ মাদরাসা বোর্ড শিক্ষা আইন’। আবেদনকারী পক্ষের দাবি ছিল, ওই আইন অবৈধ। গত শুক্রবার দুই বিচারপতির বেঞ্চ সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে। এই নির্দেশের ফলে উত্তরপ্রদেশে অনুমোদনপ্রাপ্ত মাদরাসাগুলোর সরকারি অনুদান বন্ধ হওয়ার পথ প্রশস্ত হল বলে আইনজীবীদের একাংশের ধারণা। 

উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার ইতোমধ্যেই মাদরাসা শিক্ষাকে ‘মূল শিক্ষাব্যবস্থা’র অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় সরকারি প্রক্রিয়া শুরু করতে সক্রিয় হয়েছে। সরকারের দাবি, উত্তরপ্রদেশের মাদরাসাগুলোর পড়ুয়াদের অঙ্ক এবং বিজ্ঞানের মতো বিষয়ের পাঠ দিতেই এই উদ্যোগ। এই পরিস্থিতিতে এলাহাবাদ হাই কোর্টের শুক্রবারের নির্দেশের ফলে যোগী সরকারের পদক্ষেপ করতে সুবিধা হবে। গত বছর উত্তরপ্রদেশের মাদরাসাগুলোর বিদেশি অনুদানের বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য যোগী সরকার বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গড়েছিল।

প্রসঙ্গত, ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে পশ্চিমবঙ্গের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য মাদরাসা বোর্ডের অনুমতি ছাড়া চলা সব মাদরাসা বন্ধ করে দিতে চেয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, বিজ্ঞান, গণিত, সাহিত্য পড়িয়ে দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার মূলস্রোতে শামিল করার বদলে এই ধরনের মাদরাসায় তাদের শুধু ধর্মীয় শিক্ষায় আবদ্ধ রাখা হচ্ছে। এতে কিছু ক্ষেত্রে এক ধরনের মৌলবাদী চিন্তাধারারও প্রসার ঘটে। এই নিয়ে হইচই হওয়ায় পরে অবশ্য কথার ‘অপব্যাখ্যা’ হচ্ছে দাবি করে তিনি পিছিয়ে গিয়েছিলেন।

দেরিতে এসে স্বপ্নভঙ্গ গুচ্ছে ভর্তিচ্ছু অনেকের - dainik shiksha দেরিতে এসে স্বপ্নভঙ্গ গুচ্ছে ভর্তিচ্ছু অনেকের নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ ৭ দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের মানববন্ধন - dainik shiksha নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নসহ ৭ দাবিতে সরকারি কর্মচারীদের মানববন্ধন কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সম্মতি প্রধানমন্ত্রীর - dainik shiksha জগদীশ চন্দ্র বসুর নামে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সম্মতি প্রধানমন্ত্রীর প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গ্রেফতার - dainik shiksha প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গ্রেফতার শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ - dainik shiksha শিক্ষার্থীদের জন্য পাঠ্যবইয়ের সংশোধনী প্রকাশ নিজের শিক্ষককে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢাবি শিক্ষক, প্রশংসায় ভাসছে ফেসবুক - dainik shiksha নিজের শিক্ষককে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে ঢাবি শিক্ষক, প্রশংসায় ভাসছে ফেসবুক please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0036787986755371