লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসে সাতটি পদের মধ্যে তিনটিই শূন্য। দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা জনবল সংকটের কারণে দাপ্তরিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দাবি, প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বারবার জানানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
জানা যায়, উপজেলায় ৬৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা, ১৪টি কিন্ডারগার্টেন ও ৩৯টি আনন্দ স্কুলসহ প্রাথমিক পর্যায়ের ১২৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনসহ দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার একটি, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার দুটি এবং উচ্চমান সহকারী, অফিস সহকারী, হিসাব সহকারী ও অফিস সহায়কের একটি করে পদসহ সাতটি অনুমোদিত পদ রয়েছে। এর মধ্যে একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহকারীর পদ কয়েক বছর ধরে শূন্য। ফলে একজন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকেই সব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করতে হচ্ছে। পাশাপাশি হিসাব সহকারীকে করতে হচ্ছে উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহকারীর কাজ। এতে করে বিদ্যালয় পরিদর্শনসহ দাপ্তরিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে তাদের খুব হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান জানান, বেতন-ভাতাসহ স্কুলের বিভিন্ন কাজে তাদের প্রায়ই শিক্ষা অফিসে যেতে হয়। শিক্ষা অফিসে পর্যাপ্ত লোকবল না থাকায় সেখানে তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। ফলে স্কুলে পর্যাপ্ত সময় দিতে না পারায় ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার বিঘ্ন ঘটছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী কামরুল ইসলাম জানান, উচ্চমান সহকারী ও অফিস সহকারীর পদগুলো শূন্য থাকায় তিনি একাই এ দপ্তরের সব কাজ পরিচালনা করছেন। এতে অফিসে আসা শিক্ষকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এটিএম এহছানুল হক চৌধুরী জানান, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় দাপ্তরিক কাজকর্ম চালিয়ে নিতে তাদের খুব বেগ পোহাতে হচ্ছে। যে কারণে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে শূন্য পদগুলো পূরণে তিনি বারবার লিখিতভাবে জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সমস্যার সমাধান হয়নি।