এতো জিপিএ-ফাইভ দিয়ে কী হবে - দৈনিকশিক্ষা

এতো জিপিএ-ফাইভ দিয়ে কী হবে

অধ্যক্ষ মুজম্মিল আলী |

এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সব শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবক ও শিক্ষকদের আন্তরিক অভিনন্দন। দীর্ঘদিন করোনা মহামারি থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা প্রায় দুতিন বছর স্বাভাবিক শ্রেণি কার্যক্রমের বাইরে ছিলেন। এ সময়ে তাদের সহপাঠী অনেকে পড়ালেখা থেকে ঝরে পড়েছেন। শিক্ষাঙ্গন থেকে ছিটকে পড়েছেন। তারা যে করে হোক নিজেদের লেখাপড়ায় সম্পৃক্ত রেখে অবশেষে জীবনের প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে সফলতা অর্জন করেছেন। 

এসব শিক্ষার্থী নবম শ্রেণিতে উঠতে না উঠতেই করোনা এসে সবকিছু স্তব্ধ করে দেয়। শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। এরা নবম ও দশম শ্রেণিতে ভালো করে পড়তেই পারেননি। সিলেবাসও শেষ করতে পারেননি। তদুপরি তারা পরীক্ষা দিয়ে সফলতা অর্জন করে অদম্য মনোবলের পরিচয় দিয়েছেন। তাদের নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন দিয়ে কঠিন দুঃসময় পেরিয়ে আসতে সহযোগিতা করায় অভিভাবক ও শিক্ষকদের    আমার পক্ষ থেকে স্যালুট জানাই।

গত ২৮ নভেম্বর ফল প্রকাশের পর শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অন্যরকম আনন্দ আর উচ্ছ্বাস দেখেছি। বিশেষ করে যারা জিপিএ-৫ নামের সোনার হরিণটি ধরতে পেরেছেন, তাদের আনন্দ কে দেখে? এদের মধ্যে যারা গোল্ডেন জিপিএ-৫ (সব বিষয়ে এ+) পেয়েছেন, তাদের আনন্দ আরেকটু বেশি। যতটুকু জানি, বোর্ডের রেজাল্ট শিটে গোল্ডেন জিপিএ-ফাইভ বলে কিছু নেই। তদুপরি, এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে বাড়তি একটা উচ্ছ্বাস থাকে। সব বিষয়ে এ প্লাস মানে প্রত্যেক বিষয়ে ১০০ এর মধ্যে ৮০ নম্বর কিংবা তারচেয়ে বেশি নম্বর পাওয়া। এটি একেবারে সামান্য কিংবা সহজ কথা নয়। যারা সব বিষয়ে এ প্লাস পান, তাদের নিশ্চয় নিজস্ব একটি স্বকীয়তা ও প্রখর মেধাশক্তি রয়েছে। এটি স্বীকার করতেই হবে। 

এখন তথ্য প্রযুক্তির যুগ। ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে এক টিপ দিলেই মুহূর্তে সব কাজ হয়ে যায়। আগে এগুলো ছিলো না। হাতে লিখে পরীক্ষার ফল তৈরি হতো। সারা দেশে চার-পাঁচটি মাত্র বোর্ড ছিলো। এখন অনেক। বলতে গেলে, হাতের নাগালেই শিক্ষাবোর্ড মেলে। আমরা কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে লেখাপড়া করেছি। পরীক্ষা দিয়েছি। এখন সিলেটে আমাদের নিজ জেলায় বোর্ড হয়েছে। এভাবে আরো অনেক জায়গায় বোর্ড প্রতিষ্ঠা হয়েছে। আগে এতো সংবাদ মিডিয়া ছিলো না। পত্রিকায় রেজাল্ট আসতে এক-দু'দিন লেগে যেতো। মফস্বলে এই খবর আরো দেরিতে পৌঁছুতো। কয়েক গ্রামের ভেতরে একজনে বা দুজনে পাস করতো। তদুপরি পুরো গ্রাম ও এলাকায় সে কী আনন্দ! এখনকার আনন্দ আর তখনকার আনন্দের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য। এখন পরীক্ষা পাসের আনন্দ দু'-চারদিনে নিঃশেষ হয়ে যায়। আমাদের সময় সে আনন্দ বেশ কিছুদিন বিরাজ করতো। যে পাস করতো, গাঁও-গেরামের লোকজন তাকে দেখতে বাড়িতে যেতো। বাহবা দিয়ে আসতো। 

ফার্স্ট ডিভিশন বা সেকেন্ড ডিভিশনের সে কী দাম! থার্ড ডিভিশনে পাস করেও অনেককে জীবনে ভালো কিছু করতে দেখেছি। এক সময় রেফার্ড পেলেও কিছুটা দাম ছিলো। এখন ভুরি ভুরি জিপিএ-ফাইভ। প্রথম প্রথম এক-দুই বছর সারা দেশে যতো জিপিএ-ফাইভ এসেছে, এখন একেকটা স্কুল-কলেজে তারচেয়ে বেশি আসে। এতো জিপিএ-ফাইভ কোথা থেকে আসে?  

২০০১ খ্রিষ্টাব্দে সর্বপ্রথম যখন গ্রেডিং সিস্টেমে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়, তখন সারা দেশে সব বোর্ড মিলে মাত্র ৭৬ জন জিপিএ-ফাইভ পেয়েছিল। মাত্র কুড়ি বছরের ব্যবধানে ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে সেই সংখ্যা এখন ২ লাখ ৬৯ হাজার ৬০২ জন। প্রায় তিন লাখের কাছাকাছি। এক্ষেত্রে আমরা কী আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়ে গেলাম? ভাবতেই অবাক লাগে। এতো জিপিএ-ফাইভ কোথা থেকে আসে? দেশটা কি তাহলে জিপিএ-ফাইভ তৈরির একটা ফ্যাক্টরি হয়ে গেলো? 

গ্রেডিং সিস্টেমে রেজাল্ট শুরু হওয়ার পর থেকে বোর্ডগুলো আর মেধা তালিকা প্রকাশ করে না। কেনো সেটি করে না, তা আমার বোধগম্য নয়। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বলে আজকাল বোর্ডগুলো কারো তোয়াক্কা না করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি আদায় করে থাকে। অথচ সে অনুপাতে কাজ কাম করে বলে মনে হয় না। দুই বছরের জন্য একটা কমিটি আনতে গেলে কয়েক হাজার টাকা ফি দিতে হয়। তিন কিংবা পাঁচ বছরের জন্য কি কমিটি দেয়া যায় না? পাঠদানের অনুমতি, স্বীকৃতি ও স্বীকৃতি নবায়নের ফি কয়েক হাজার টাকা। অথচ এগুলো পেতে বেশ বেগ পাওয়া লাগে। সময়মতো পাওয়া যায় না। স্বীকৃতি নবায়ন তিন বছর পর পর কেনো? পাঁচ কিংবা দশ বছর পর পর করলে কী হয়? পরীক্ষা ফি এর নামে বছরে কোটি কোটি টাকা আদায় হয়। অথচ প্রশ্ন প্রণেতা, মডারেটর, পরীক্ষক ও নিরীক্ষকরা সময়মত সম্মানীর টাকাটা পান না।

গ্রেডিং পদ্ধতি চালু হওয়ার আগে যেদিন রেজাল্ট প্রকাশ হতো, তার পরের দিন সকল স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের ছবিতে ভরে যেতো। রেডিও, টেলিভিশনে তাদের সাক্ষাৎকার প্রকাশ হতো। এর ফলে মেধাবীরা আরো বেশি উৎসাহিত হতেন। দেশ ও জাতি মেধাবী মুখগুলো দেখতে পেতো। 

১৯৯৭ খ্রিষ্টাব্দে আমার প্রতিষ্ঠানের জনৈক ছাত্র কুমিল্লা বোর্ডে মানবিক গ্রুপে সম্মিলিত মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন। পরের দিন সকল জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় তার ছবি ও সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। কয়েকদিন পর বিটিভি তার একটি সাক্ষাৎকার নেয়। তাতে ছেলেটি যেমন অনুপ্রাণিত হয়েছেন, তেমনি শিক্ষক হিসেবে আমরাও গর্ববোধ করেছি। তিনি এখন সস্ত্রীক কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন বলে শুনেছি। এর আগে কয়েক বছর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। গ্রেডিং পদ্ধতির রেজাল্টে এখন ট্রান্সক্রিপ্টে প্রত্যেক বিষয়ে প্রাপ্ত গ্রেডের পাশাপাশি নম্বর দেয়া থাকে। এ কারণে মেধা তালিকা প্রকাশ করা কঠিন কোনো কাজ নয়। তাই আগের মতো পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে অন্তত কুড়ি জনের একটি মেধা তালিকা প্রকাশ করলে ভালো হয়। শিক্ষাবোর্ডগুলো এই কষ্টটুকু করতে রাজি হবেন কিনা, কে জানে? 

আমাদের সময় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা কোনোদিন ঘটেছে বলে শুনিনি। প্রশ্নপত্রে বিতর্কিত কিছু জুড়ে দেয়ার অবকাশও ছিলো না। রচনামূলক, সংক্ষিপ্ত ও ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণধর্মী প্রশ্ন কাঠামা ছিলো। এখন অনেক প্রশ্নপ্রণেতা সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতির উদ্দীপকে যা তা লিখে কেবল প্রশ্নের মানকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেন না, গোটা পরীক্ষা পদ্ধতিকে বিতর্কিত করে তোলেন। এর দায়ভার কেবল প্রশ্নকর্তা কিংবা মডারেটরদের ওপর ছেড়ে দিয়ে বোর্ড কর্তৃপক্ষ দায়সারা হয়ে থাকতে পারেন না। 

আমি বিভিন্ন সময়ে বোর্ডে প্রশ্ন প্রণেতা ও মডারেটরের কাজ করেছি। বোর্ডে ডেকে নিয়ে প্রশ্নপত্রের কাজ করানো হয় বটে। ভালো খাবার-দাবার ও আপ্যায়নের ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু, নজরদারি বলতে তেমন কিছু থাকে না। সম্মানী ভাতা বাবদ যে টাকা দেয়া হয়, তা এক বছরের আগে পাওয়া যায় না। বছর শেষে আরেক পরীক্ষা এলে তখন প্রশ্নপ্রণেতা ও মডারেটররা টাকা হাতে পেয়ে থাকেন। পরীক্ষক এবং নিরীক্ষকদের বেলায়ও তাই। কয়েক বছর আগে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডে বাংলাদেশ পরীক্ষা উন্নয়ন ইউনিটের একটি কর্মশালায় প্রাসঙ্গিক অনেক বিষয় তুলে ধরার সুযোগ আমার হয়েছিল। সেই কর্মশালায় বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, প্রশ্ন প্রণেতা ও পরিশোধনকারী এবং প্রধান পরীক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাউশি অধিদপ্তরের লোকজনও ছিলেন। আমাদের বক্তব্য শুনে সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিরা সব সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত সবকিছু আগের মতোই চলমান আছে।

গত প্রায় এক দশক ধরে আমাদের পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে পাসের হার বৃদ্ধি এবং জিপিএ-ফাইভ অর্জনের মহোৎসব চলছে। বছরের পর বছর জিপিএ-ফাইভ কেবল বেড়ে চলেছে। প্রতি বছর  হাজার হাজার জিপিএ-ফাইভ। এ বছর জিপিএ-ফাইভ প্রায় তিন লাখের কাছাকাছি শিক্ষার্থী পেয়েছে । এতো জিপিএ-ফাইভ দিয়ে আমরা কী করবো? এই কয়েক বছরে সারা দেশে যতজন জিপিএ-ফাইভ পেয়েছেন, তারা সবাই যদি সত্যিকারের মেধাবী হয়ে থাকেন তবে পঞ্চান্ন হাজার বর্গমাইলের গোটা দেশটি এতোদিনে মেধাবীতে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, দেশজুড়ে এখন মেধার হাহাকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় কেউই পাস করতে পারেননি, এমন খবর আমাদের শুনতে হয়। পরীক্ষার ফল পেয়ে সাময়িক উচ্ছ্বসিত  না হয়ে এ সবের কারণ খুঁজে বের করা এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। সৃজনশীল পদ্ধতির পরীক্ষা ব্যবস্থা এবং গ্রেডিং সিস্টেমে পরীক্ষার ফল দেয়া চালু হওয়ার পর থেকে আমাদের শিক্ষায় একটি বড় রকমের ধস নেমে এসেছে। 

এর আগে ১৯৯২ খ্রিষ্টাব্দের পর নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার কারণে পাসের হার একবার হু হু করে বেড়ে গিয়েছিল। তখন নৈর্ব্যক্তিক ও রচনামূলক মিলে পাস করলেই হতো। সারা বছর পড়াশুনা না করে পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর দাগিয়ে দিলেই হতো। তারপর এলো বৃত্ত ভরাট করে পাসের সুযোগ। সারা বছর পড়াশুনা না করে প্রশ্নের উত্তরে টিক চিহ্ন দিয়ে আর বৃত্ত ভরাট করে কতো ছেলেমেয়ে পাস করে গেছে, তার হিসেব কেউ কি রেখেছে? সে সময় পাসের চেয়ে ফেল করা কঠিন হয়ে উঠেছিল। আমাদের শিক্ষায় এসব বিষয় গত কয়েক দশক থেকে চলে আসছে। এসব বন্ধ না করলে আমাদের ভবিষ্যত একেবারে অন্ধকার। 

পরীক্ষায় সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি এবং রেজাল্ট তৈরিতে গ্রেডিং পদ্ধতির প্রয়োগ ও বাস্তবায়নে আমরা কতটুকু সফল হতে পেরেছি, তা আজ ভেবে দেখতে হবে। উন্নত বিশ্বের দেশগুলো এসব পদ্ধতি ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মতো দক্ষ নাগরিক তৈরি করছে। পক্ষান্তরে, আমরা এসব পদ্ধতির যথাযথ প্রয়োগ ও বস্তবায়ন না করে পরীক্ষার পাসের হার বৃদ্ধি ও জিপিএ-ফাইভ পাওয়ার কুৎসিত প্রতিযোগিতায় মেতে উঠেছি। অভিভাবকে-অভিভাবকে প্রতিযোগিতা। অমুকের ছেলে জিপিএ-ফাইভ পেলে আমার ছেলে নয় কেন? যে করে হোক জিপিএ-ফাইভ চাই। মানুষ হলো কি হলো না, সে চিন্তা আমাদের নেই। আগে জিপিএ-ফাইভ পেতে হবে। পাসের হার ও জিপিএ-ফাইভ বাড়াতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে আরেক প্রতিষ্ঠান এবং বোর্ডের সাথে আরেক বোর্ডের প্রতিযোগিতা চলছে। যে করে হোক অন্যের থেকে পাসের হার ও জিপিএ-ফাইভ বেশি অর্জন করতে হবে। শিক্ষাবোর্ডগুলো খাতায় যে কোনো কিছু লিখলেই পাস নম্বর দেবার কথা পরীক্ষকদের বলে দেয়। এ কারণে অনেক শিক্ষক এখন বোর্ডের খাতা দেখতে পছন্দ করেন না। এক সময় কুমিল্লা বোর্ডে এবং পরবর্তীতে সিলেট বোর্ডে পরীক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। শেষ দিকে গত কয়েক বছর পরীক্ষক হিসেবে কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। 

অনেক সময় দেখা যায়, এক বিষয়ের শিক্ষক অন্য বিষয়ের খাতা দেখতে পরীক্ষক হয়ে যান। আবার অনেকে শিক্ষকতায় প্রবেশ করে কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়াই পরীক্ষক হয়ে যান। আমার মনে আছে, ছয়-সাত বছর শিক্ষকতা করে পর পর তিনবার আবেদন করার পর কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে পরীক্ষক হয়ে খাতা দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। এখন দেখি, অনেকে ছয় মাসের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা নিয়ে পরীক্ষক হয়ে যান। কেউ কেউ বোর্ডের পরীক্ষা শাখায় টাকা পয়সা দিয়ে নিজের বিষয় কিংবা অন্য বিষয়ে প্রধান পরীক্ষক পর্যন্ত বনে যান বলে শুনতে পাই। তারা পরীক্ষার খাতা কতটুকু সঠিক মূল্যায়ন করতে পারেন, সেটি একটি বড় প্রশ্ন। পরীক্ষা বা মুল্যায়ন যেটি বলি না কেনো, সেটি আরো যথার্থ ও গ্রহণযোগ্য হওয়া চাই। তা না হলে এসব জিপিএ-ফাইভ দিয়ে দেশ ও জাতির কোনো কল্যাণ হবে না।

লেখক : অধ্যক্ষ মুজম্মিল আলী, আবাসিক সম্পাদক (লন্ডন), দৈনিক শিক্ষাডটকম

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0048511028289795