ননএমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদন চলছে। রোববার (৫ আগস্ট) এমপিওভুক্তির আবেদন শুরু হয় এবং তা চলবে পরবর্তী ১৫ দিন। আর এ আবেদন করতে হবে অনলাইনে। প্রতিষ্ঠানের যোগ্যতা অনুসারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্রমিক সাজাবে সফটওয়্যার। এরপর কত প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সেই তালিকা করা হচ্ছে।
তবে, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারছেনা। তাদেরকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট http://shed.portal.gov.bd-এ online MPO শিরোনামে সফটওয়্যারের লিংকে ক্লিক করে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। সফটওয়্যারে তিনটি প্রয়োজনীয় আইকন (Icon) দেখা যাবে। এতে আবেদনের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমপিও প্রত্যাশিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা নির্দেশনা অনুসরণ করে সহজেই অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ করতে পারবেন। আবেদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রেডিং করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য তথা শিক্ষার্থীর সংখ্যা, পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ও পাসের হারসহ বিভিন্ন তথ্য ব্যানবেইস ও শিক্ষা বোর্ডের ডাটা বেইস থেকে ইনপুট করা হচ্ছে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে এমপিও নীতিমালার শর্তানুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গ্রেডিং তালিকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তৈরি করা হচ্ছে।
সফটওয়্যারটি ওরাল ডাটা বেইস সমৃদ্ধ লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। অ্যাপাসি কনফিগারেশনসহ জাভা স্ক্রিপ্ট লাইব্রেরি ব্যবহার করে সফটওয়্যারটি তৈরি করা হয়েছে। সফটওয়্যারের মাধ্যমে জমা করা যাবতীয় তথ্য ব্যানবেইসের সার্ভারে সংরক্ষিত থাকবে। ব্যানবেইসের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাধ্যমে ডাটা সিকিউরিটি নিশ্চিত করা হবে।
এদিকে দৈনিক শিক্ষার কাছে কয়েকজন শিক্ষক অভিযোগ করেছেন নতুন প্রতিষ্ঠানের এমপিও আবেদন পূরণ করলে চূড়ান্তভাবে সাবমিট হচ্ছে না।
অবশ্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলেছেন, এমপিও আবেদনের সফটওয়্যারে কোনো ধরণের সমস্যা নেই। তবে কেউ যদি ভুল তথ্য বা কোনো তথ্য না দিয়ে অথবা সঠিকভাবে নিয়ম মেনে আবেদন না করে তাহলে সে আবেদন অনলাইন নেবে না।