সার্ভার জটিলতা ও লকডাউনের মধ্যে নতুন ব্যাংক হিসাব খুলতে দেরি হওয়াসহ নানা কারণে অনেক শিক্ষকই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারছেন না। এ ছাড়া হঠাৎ করেই আবেদন জমা নেয়া শুরু করায় অনেকের কিছু কাগজপত্রে ঘাটতি আছে। কোথাও কমিটির সভাপতি অনেক দূরে অবস্থান করছেন। আবার সব ভুয়া কাগজ দিয়ে ব্যাকডেটে নিয়োগ দেখিয়ে আবেদন জমা দিচ্ছেন অনেকে। এতে সহায়তা করছেন প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সভাপতি। করোনায় লকডাউনের মধ্যে সুযোগে অনেক জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা ঘুষ দাবি করছেন। শিক্ষা অধিদপ্তরের ইএমআইএস সেলের পুরনো ও দাগী এবং দুদকের মামলায় গ্রেফতার হয়ে জামিনে মুক্ত থাকা কয়েকজন সিস্টেম এনালিস্ট ও প্রোগ্রামারও ঘুষের নানা ফাঁদ পেতেছেন। শিক্ষা ভবন ও মাদরাসা অধিদপ্তরকেন্দ্রিক ও জেলাভিত্তিক এমপিওর দালালরা তৎপর হয়েছে। তবে, শিক্ষার নানা স্তরে তক্কে তক্কে থাকা দৈনিক শিক্ষার সাংবাদিকরাও অনুসন্ধানে নেমেছেন।এমপিও জালিযাতচক্র পাকড়াও করতে কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি অভিযোগ এসেছে দৈনিক শিক্ষার হেড অফিসে। সেগুলো যাচাই-বাছাই শেষে প্রকাশ করা হবে। ঘুষ চাওয়ার তথ্যপ্রমাণসহ দৈনিক শিক্ষার ইমেইলে ([email protected]) পাঠাতে শিক্ষকদের অনুরোধ করা যাচ্ছে। এছাড়া টেলিফোন করেও জানানো যাবে।
অভিযোগ: ১
সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নজরুল ইসলাম জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে দাবি করেছেন মর্মে অভিযোগ করেছেন শিক্ষকরা। তবে, শিক্ষকরা বলেছেন, নাম প্রকাশ করলে আজীবন আমাদের ডিস্টার্ব করবেন অফিসার।
অভিযোগ: ২
ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর, রুপগঞ্জ ও ভৈরবের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তরা নিজ নিজ কর্মস্থলে নেই বলে জানা গেছে। যদিও সরকারি নির্দেশ রয়েছে করেনার ছুটিতেও কর্মস্থলে থাকতে হবে সর্ব কর্মকর্তাকে। ভৈরবের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ শাহরিয়ার মেনজিসের বিরুদ্ধে প্রশ্নফাঁসের অভিযাগ ডিবি পুলিশ সাতদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলো। এমপিও জালিয়াতি ধরা পড়ার ভয়ে এমপিওর তথ্য না দেয়ায় তথ্য কমিশন মেনজিসকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করে সম্প্রতি। মেনজিস ঢাকার ধানমণ্ডিতে দামী ফ্ল্যাটে থাকেন মর্মে অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি ফ্ল্যাটে থাকেন নাারয়ণগঞ্জের আরেক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
অভিযোগ: ৩
সিলেটের গোয়াইনঘাট থেকে একটি মাদরাসার সুপার দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, সার্ভার জটিলতার কারনে আমার মাদরাসার কিছু এমপিও আবেদন ৫ মে সাবমিট করেছি। এখন উপজেলা ও জেলা শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করলে তারা উপর থেকে নির্দেশ না পাওয়ায় ৪ মে’র পরের আবেদনগুলো রিজেক্ট করতে চায়। অতএব ৫ তারিখের মাদরাসার আবেদনগুলো যাতে গ্রহণ করা হয় সেই ব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
পরিচালক ও উপপরিচালকদের অফিস, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও কর্মচারী এবং ইএমআইএস ও মেমিসের সাথে যুক্তদের মধ্যে যারা দুর্নীতিবাজ ও ঘুষ দাবি করছেন তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে প্রকাশ করা হবে।
অভিযোগকারীদের মধ্যে কেউ যদি নাম-পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে তা আগেই জানাবেন।