কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (সিবিআইইউ) মালিকানা নিয়ে বিরোধ ও শিক্ষার্থীদের ২১ দফা দাবির আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি সম্পূর্ণরূপে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এছাড়া বিগত সব বছরের অডিটসহ হাল বছরের অডিট সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে সংরক্ষিত তহবিলে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকাল থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সুদাসলসমেত অর্থ পুনর্ভরণে ব্যর্থ হলে ইউনিভার্সিটির সনদ বাতিলসহ দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ইউজিসি।
ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ওমর ফারুখ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এসব নির্দেশ দেওয়া হয়। চিঠিতে এক বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি সিবিআইইউর সাময়িক অনুমতি নবায়নের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকৃত উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগের জন্য এক মাসের মধ্যে প্যানেল পাঠানোর নির্দেশসহ ১৬ শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) সাইফুল্লাহ বলেন, প্রায় তিন মাস আগে রাষ্ট্রপতি নিয়োগকৃত উপাচার্য ও ট্রেজারার নিয়োগের জন্য আমরা প্যানেল পাঠিয়েছি তবুও কেন ইউজিসি প্যানেল পাঠাতে বলেছে জানি না। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সিন্ডিকেট কমিশনের সভা হয়েছে। সেখানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ইউজিসি তার পরও সিন্ডিকেট সভা হয়নি বলে শর্তে উল্লেখ করেছে, এটা ইউজিসির ভুল।
ইউজিসির নির্দেশনার প্রতিক্রিয়ায় সিবিআইইউর প্রতিষ্ঠাকালীন ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যসচিব লায়ন মো. মুজিবর রহমান বলেন, কক্সবাজারের এই উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানটি হারিয়ে যাবার পথে। জেলার সর্বস্তরের মানুষের উচিত বিশ্ববিদ্যালয়টি রক্ষায় এক হয়ে মাঠে নামা।
প্রতিক্রিয়া জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন আহমদের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। এসএমএসেরও জবাব দেননি।