নভেল করোনা ভাইরাস নিয়ে আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজে ‘বিশ্বের নতুন হুমকি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সকালে মেডিকেল কলেজের ন্যাশনাল প্রফেসর ইব্রাহীম লেকচারার থিয়েটারে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ সেমিনার আয়োজন করে।
মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মানবেন্দ্র নাথ নাগের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রিচমন্ড রোন্যাল্ড গোমেজ। প্রধান অতিথি ছিলেন আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. মো. আফিকুর রহমান।
আদ্-দ্বীন হাসপাতাল ও নার্সিংসমূহের ডিরেক্টর জেনারেল প্রফেসর ডা. নাহিদ ইয়াসমিন, প্রফেসর ডা. হামিদুর রহমান, প্রফেসর ডা. লুৎফুল কবীর প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সেমিনারে মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আশরাফ উজ্জ-জামানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও হাসপাতালের নার্সরা উপস্থিত ছিলেন।
মূল প্রবন্ধে ডা. রিচমন্ড রোন্যাল্ড গোমেজ বলেন, ‘নভেল করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী একটি নতুন হুমকি। ভাইরাস থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। সাবান দিয়ে হাত ভালোভাবে ধুতে হবে। জীবানুনাশক হাতে মেখে জীবানু প্রতিরোধ করতে হবে। নাকে মুখে হাত বা আঙ্গুল দেয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে নিয়মিত হাত পরিষ্কার রাখতে হবে। মুখ ঢেকে হাঁচি, কাশি দিতে হবে। প্রাণীর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকতে হবে। রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কাঁচা বাজারে গেলে পশু-পাখির মাংস ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাংস ধরলে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। মাংস ধরে হাত না ধুয়ে মুখমণ্ডল স্পর্শ করা যাবে না। মাংস ও ডিম ভালো করে সেদ্ধ ও রান্না করে খেতে হবে।
এছাড়াও সেমিনারে করোনা ভাইরাস সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ডা. রিচমন্ড রোন্যাল্ড গোমেজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ডা. মো. আফিকুর রহমান বলেন, ‘যখন কোনো দেশ ক্রাইসিসে পড়ে তখন সে দেশের সেনাবাহিনী বিমান বাহিনী ও নৌ বাহিনীর লোক ফায়ারিং রেঞ্জে থাকে। কিন্তু এখন আমরা যারা ডাক্তার আমরা যারা সিস্টার আমরা যারা হেলথ্ ওয়ার্কার তারাই আজ সারা পৃথিবীতে ফায়ারিং রেঞ্জে। সুতরাং আমাদের দায়িত্ব আমরা ব্যাসিক আইডিয়া দিয়ে রোগীর সেবা করব সাথে সাথে আমরা নিজেরাও সেইভ থাকব।’
সেমিনারে সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এবং এই বিষয়ে সচেতনতা, প্রতিরোধ ও করণীয়, এর প্রতিষেধক তৈরিতে জৈবপ্রযুক্তি এবং বায়োইনফরমেটিক্সের সম্ভাবণা এবং প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এছাড়াও বক্তারা সরকারি, বেসরকারি ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ ভাইরাস বিষয়ে জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক করার আহ্বান জানান।