করোনা মহামারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সবকিছু বন্ধ হয়ে গেছে। মানুষ হয়ে পড়েছে গৃহবন্দি, সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, ভালো নেই শিক্ষকরাও। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খাতা দেখার সম্মানী পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের দাবি, গত ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দের ৩য় বর্ষ, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১ম বর্ষ, ২য় বর্ষ ও ৩য় বর্ষের খাতা দেখেছেন তারা। এদিকে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ম বর্ষের পরীক্ষাও সম্পন্ন হয়ে গেছে। অথচ আগের খাতা দেখার সম্মানী এখনও পরিশোধ করেনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
করোনার এ সংকটময় মুহূর্তে পরীক্ষার খাতা দেখার সম্মান পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার রাধাকান্তপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক মো. আব্দুল আলিম (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), মো. আব্দুল আলিম (রাষ্ট্রবিজ্ঞান), মো. কামরুজ্জামান (ইতিহাস), মো. একরামুল হক (ইসলামের ইতিহাস), মো. আয়েশউদ্দীন (ইসলাম শিক্ষা), মো. সফিকুল আলম (মনোবিজ্ঞান), মো. আব্দুল মান্নান (ইসলামের ইতিহাস), মো. মোয়াজ্জেম হোসেন (ইসলাম শিক্ষা), মো. মাহবুব আলম (দর্শন), মো. পারুল ইসলাম (দর্শন) সহ প্রমুখ।
তারা দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে শিক্ষার ক্ষেত্রে অনন্য একটি প্রতিষ্ঠান। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আয় দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক বেশি। এখানে হাজার হাজার কোটি টাকা অলস হয়ে পড়ে আছে। কিছু কিছু অনিয়ম এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ন করে দিচ্ছে। আমরা বিভিন্ন কলেজের প্রভাষক, সহকারী অধ্যাপক। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরীক্ষার সংশ্লিষ্ট বিষয়ের খাতা মূল্যায়ন করেছি। বর্তমানে ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দের ১ম বর্ষের পরীক্ষাও হয়ে গেছে। অথচ আগের খাতাগুলোর বিল এখনো পাইনি। এই দুর্যোগময় মুহূর্তে খাতা দেখার পারিশ্রমিক দেয়া হলে অনেক উপকার হতো বলে জানান তারা।