করোনা : কমছে স্কুল-কলেজে উপস্থিতি, ইংলিশ মিডিয়ামে ঐচ্ছিক - দৈনিকশিক্ষা

করোনা : কমছে স্কুল-কলেজে উপস্থিতি, ইংলিশ মিডিয়ামে ঐচ্ছিক

নিজস্ব প্রতিবেদক |

দেশে নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত তিন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্কুলে স্বাভাবিকের চেয়ে উপস্থিতি অনেক কমে গেছে। ভাইরাস সংক্রমণ রোধে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেছে।

নিজ নিজ সন্তানকে চাইলে পাঠাতে পারেন না চাইলে নয়---  অভিভাবকদের এমন বার্তা পাঠিয়েছে রাজধানীর কয়েকটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল।  এসএমএস করে অভিভাবকদের জানিয়ে দেয়া হয়েছে, করোনার কারনে আগামী কয়েকদিন সন্তানকে স্কুলে না পাঠালে জবাবদিহি করতে হবে না। সরকার চায়না তাই তারা স্কুল বন্ধ ঘোষণা করছেন না।  

অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে চাচ্ছেন না। মিরপুর বাংলা স্কুলের অভিভাবক মো. বাছির তার স্কুলপড়ুয়া সন্তানকে দুদিন ধরে স্কুলে পাঠাচ্ছেন না। একইভাবে মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ভিকারুন নিসা নূন স্কুল, মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানিয়েছেন, গত দুদিন স্বাভাবিকের চেয়ে স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম ছিল।

অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, তিন জন করোনা রোগীর বিষয়টি জানার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া উচিত ছিল। অন্তত আপাতত এক সপ্তাহ বন্ধ রাখা উচিত ছিল। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রণালয় তা বন্ধ না করায় অভিভাবকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। 

অভিভাবকেরা বলছেন, জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে, স্কুলের চেয়ে জনসমাগম আর কোথায় বেশি হয়। স্কুলে প্রবেশ এবং ছুটি হওয়ার সময় বের হতে গিয়ে স্কুলের ছোট গেট দিয়ে একে অপরের সংস্পর্শে সবচেয়ে বেশি আসে।

ছোট্ট একটি ক্লাসরুমে ৭০ থেকে ৯০ জন শিক্ষার্থী চার-পাঁচ ঘণ্টা অবস্থান করে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুমে একটি বেঞ্চে চার-পাঁচ বা ছয় জন পর্যন্ত গাদাগাদি করে বসে। ফলে কোনো শিক্ষার্থী ভাইরাসের সংক্রমণ হলে তা অন্য শিক্ষার্থীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। অন্যদিকে গণপরিবহন এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে। কিন্তু অনেক স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে চড়ে আসে। ফলে স্কুল খোলা থাকায় স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা পালন করা শিক্ষার্থীদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। অভিভাবকরা মনে করেন, একদিকে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরামর্শ, অন্যদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রাখা দুটি পরস্পরবিরোধী। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচিত আপাতত এক সপ্তাহের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা ।

নভেল করোনা ভাইরাস কী এবং এই রোগ প্রতিরোধে কী কী করতে হবে, তার বিবরণ তুলে ধরে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে মাউশি অধিদপ্তর। সংস্থাটির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, সব ধরনের সচেতনতামূলক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ জানানো হয়েছে বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে স্কুল বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

 

আরও পড়ুন : 

করোনা : যেসব ভুয়া স্বাস্থ্য পরামর্শ এড়িয়ে চলবেন

করোনা : কি করব-কি করব না, সঠিক তথ্য কোথায় পাবো?

করোনা সম্পর্কে জানতে হটলাইন নম্বর

করোনাভাইরাস: স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজসহ সব ধরনের সমাবেশ স্থগিত

বাংলাদেশে তিন করোনা রোগী শনাক্ত

করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫ পরামর্শ

করোনার ঘোষণা দাও, অনুষ্ঠান পরে, আমি তোমাদের সাথে আছি : প্রধানমন্ত্রী

লাগবেনা মাস্ক, ৭টি বিষয় মানলেই কমবে করোনার ঝুঁকি

করোনা ভাইরাস : বুঝবেন কীভাবে, যাবেন কোথায়?

করোনায় উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ২৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশ : মার্কিন দূতাবাস

নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল - dainik shiksha নতুন শিক্ষাক্রমের ৩১ পাঠ্যবইয়ে ১৪৭ ভুল বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ - dainik shiksha বজ্রপাতে মাদরাসার ২১ ছাত্র আহত, হাসপাতালে ১১ যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি - dainik shiksha যতো লিখেছি, ছিঁড়েছি তার বেশি তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি - dainik shiksha তত্ত্বাবধায়ককে বাধ্য করে ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ - dainik shiksha সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দুই কবির জন্মবার্ষিকী পালনের নির্দেশ শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই - dainik shiksha শিক্ষকদের চাকরির মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী - dainik shiksha বিদ্যালয়ের ক্লাস থামিয়ে ভোট চাইলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0033500194549561