করোনাভাইরাসের ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে আগামী এক বছর ধরে প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে এমপি পর্যন্ত সবার বেতন কাটবে ভারত। তালিকায় রাজ্যপালরাও আছেন। সোমবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয় মোদি সরকার।
বৈঠকে ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সাংসদদের বেতন থেকে প্রতি মাসে ৩০ শতাংশ কেটে নেয়া হবে। সেই টাকা চলে যাবে প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে। খরচ হবে করোনাভাইরাস এবং তার পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবেলায়। পাশাপাশি আগামী ২ বছর সাংসদ তহবিলও বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিসভা। দুই বছরে জমা হওয়া ওই তহবিলের ৭৯০০ কোটি টাকা (রুপি) প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে যাবে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া, আনন্দবাজারের।
রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের রাজ্যপালরাও তাদের বেতনের ৩০ শতাংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ কথা জানিয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। তাদের না নেয়া বেতন এবং মন্ত্রী-সাংসদদের বেতনের অংশ একটি তহবিলে জমা হবে। সেখান থেকেই ওই অর্থ খরচ হবে করোনাভাইরাস মোকাবেলায়।
ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর এই প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক হল। তবে এদিন বৈঠক হয়েছে ভিডিও কনফারেন্সে। বৈঠকের পর প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, ‘১৯৫৪ সালের মন্ত্রী-সাংসদদের বেতন, ভাতা ও পেনশন আইনে পরিবর্তন আনার জন্য একটি অর্ডিন্যান্সে সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এপ্রিল মাস থেকেই এ নিয়ম কার্যকর হবে। সাংসদদের পেনশনের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
এলাকায় উন্নয়ন কাজের জন্য সাংসদদের একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে প্রকল্প তৈরি করে উন্নয়ন কাজ হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের মোকাবেলায় সাংসদদের সেই উন্নয়ন তহবিলের টাকা দু’বছরের জন্য বরাদ্দ করা বন্ধ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।
দু’বছরে এ টাকার পরিমাণ প্রায় ৭৯০০ কোটি টাকা বলে জানান জাভড়েকর। বিজেপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাষণের পরপরই এ বৈঠকে বসেন নেতারা।