কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় এমপিওভুক্ত হতে পারছে না হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা বিষয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক। তারা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে বিধি মোতাবেক নিয়োগ পেয়ে শিক্ষকতা করে আসছেন। এমপিওভুক্তির নীতিমালা অনুযায়ী হিন্দু ধর্মের পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী থাকার পরও বিষয়ের অনুমোদন না থাকার অজুহাত দেখিয়ে তাদেরকে এমপিওভুক্ত করা হচ্ছে না। চলতি বছরের জানুয়ারিতে সুপারিশ পেয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে নিয়োগ পেয়েছেন। শুরু থেকেই ভোগান্তিতে রয়েছেন পুরাতন ইনডেক্সধারী ও নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত কয়েকজন শিক্ষক। শনিবার (১১ নভেম্বর) এ বিষয় এমপিওভুক্তির দাবিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে আবেদন করেছেন ময়মনসিংহ অঞ্চলের ভুক্তভোগী এই সহকারী শিক্ষকরা।
মাসের পর মাস এমপিওর জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের হাফেজ আ: রাজ্জাক পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈতিক শিক্ষার শিক্ষক বিশ্ববিজৎ চন্দ্র দে। তিনি আজ (১১ নভেম্বর) শিক্ষা অধিদপ্তরে এসেছিলেন। তিনি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, উপজেলা ও জেলা কর্মকর্তা এবং ময়মনসিংহের আঞ্চলিক উপপরিচালকের অবহেলা ও উদাসীনতায় আমরা প্রায় এক বছর ধরে এমপিওবঞ্চিত। অথচ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে আমাদের সাথে যারা সুপারিশ পেয়ে নিয়োগ পেয়েছেন তারা ইতিমধ্যেই এমপিওভু্ক্ত হয়েছেন।
ময়মনসিংহের গৌরিপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জুয়েল চন্দ্র পাল দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, পদের অনুমোদন না থাকার অজুহাত দেখিয়ে আমাকে এমপিওবঞ্চিত রাখা হচ্ছে। কিন্তু হিন্দু ধর্মের বিষয়টির এমপিও অনুমোদন আর ডিউ সেট আপ দেয়ার কাজটি তো সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের। আমরা মাসের পর মাস ঘুরছি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও ডিডি অফিসে।
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উত্তম কুমার পাল, ময়মনসিংহের ফুলপুরের বওলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পলাশ রায় এবং ময়মনসিংহ সদরের বিদ্যাগঞ্জ রাণী রাজবালা (আর,বি) বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সঞ্চিতা রাণী বিশ্বাসসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষা অধিদপ্তরে এসেছিলেন এমপিওর দাবিতে।