নাটোরের বড়াইগ্রামে কলেজছাত্র আল-আমিনের হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা জীবন ওরফে হারপিক জীবনকে (২৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ জুলাই) বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস দৈনিক শিক্ষাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জীবন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
ওসি দিলিপ কুমার দাস দৈনিক শিক্ষাকে বলেন, কলেজছাত্র আল আমিনকে গুলি করে হত্যার সময় তিনজনের একটি দল ছিল। ওই দলের প্রধান ছিল জীবন ওরফে হারপিক জীবন। তাকে শনিবার গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়ে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা হবে। জীবন পাবনা শহরের শালগাড়ীয়া এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
এদিকে কলেজছাত্র আল-আমিনের হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে নাটোরের বড়াইগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে দুটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ জুলাই) সকালে পাবনা-নাটোর মহাসড়কে কদিমচিলান উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, নিহত আল আমিনের বাবা শাহাদৎ হোসেন, খলিশাডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আনম ফরিদুজ্জামান, অধ্যাপক আতিকুর রহমান, কদিমচিলান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনিসুর রহমান, কদিমচিলান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়াজেদ আলী, শিক্ষার্থী মেহজাবিন প্রমূখ।
গত শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার বটতলা এলাকা খলিশাডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ও মকিমপুর গ্রামের শাহদৎ হোসেনের ছেলে আল-আমিনকে (১৮) গুলি করে তার মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে আল আমিনকে উদ্ধার করে বড়াইগ্রাম হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এঘটনায় শনিবার সকালে আল আমিনের শাহাদৎ হোসেন আজ্ঞাত আসামির নামে বড়াইগ্রাম থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।