একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য দুই দিনে দেড় লাখ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখ আবেদন জমা পড়েছে। মোট এক লাখ ৫১ হাজার শিক্ষার্থী এই আবেদন করেছে বলে আন্ত:শিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি সূত্র জানিয়েছে। এর মধ্যে এক লাখ সাত হাজার শিক্ষার্থী অনলাইনে আর এসএমএসের মাধ্যমে ৪৪ হাজার শিক্ষার্থী আবেদন করেছে। তবে সার্ভারে কোনো ধরনের কারিগরি জটিলতা তৈরি না হলেও রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল অপারেটর টেলিটকের মাধ্যমে এসএমএসে ফি জমা দিতে কিছুটা সময় লাগছে।
আন্তবোর্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, টেলিটকের আবেদন বোর্ড থেকে ‘ভেরিফাই’ হয়ে প্রার্থীর কাছে ‘রিপ্লাই’ যাওয়ায় কিছুটা সময় লাগছে। ক্রস চেক করে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার কারণে পিন নাম্বার পেতে একটু সময় লাগছে। এতে শিক্ষার্থীদের চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ দেন বোর্ড কর্মকর্তারা। শুক্রবার রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখাকালে ঢাকা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক মো. আশফাকুস সালেহীন জানান, রাত ৮টা পর্যন্ত এক লাখ ৫১ হাজার শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ লাখেরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। তিনি জানান, একজন আবেদনকারী যতগুলো কলেজকে তার পছন্দক্রমে রাখবে সার্ভারে ততটি আবেদন হিসেবে গণ্য হচ্ছে। সে হিসেবে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে অনলাইনের পাশাপাশি এসএমএসের মাধ্যমে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন নেওয়া শুরু করে আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি। আবেদন করা যাবে ৯ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। তবে আবেদন শুরুর দিন এসএমএসে ফি পরিশোধ করতে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ‘রেসপন্স’ না পাওয়ায় কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিল শিক্ষার্থীদের। এর বাইরে অনলাইন সর্ভারে এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের কারিগরি ‘জটিলতা’ তৈরি হয়নি বলে জানান আসফাকুস সালেহীন।
এবার কলেজে ভর্তিতে শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ১০টি এবং এসএমএসের মাধ্যমে আরো ১০টিসহ মোট ২০টি কলেজে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছে। আর শিক্ষার্থীদের আবেদন করা প্রতিটি কলেজেই তাদের মেধাতালিকা থাকবে। ভর্তির জন্য মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ১৬ জুন। মেধাতালিকা থেকে ১৮ থেকে ২২ জুন এবং অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ২৩ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে।