যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, যুবসমাজকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করুন, তারাই দেশ গড়বে। তরুণরা কারিগরি শিক্ষা পেলে জনসম্পদে পরিণত হবে। গতকাল ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ব্র্যাকের ‘স্কিল ট্রেনিং ফর অ্যাডভান্সিং রিসোর্সেস প্রোগ্রাম (স্টার)’-এর ১০ বছরপূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার যুবাদের দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগ করছে এবং তাদের স্বাবলম্বী হতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে। সরকারি, বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান শিক্ষা ও কারিগরি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন এমন তরুণদের কাছে পৌঁছানোর জন্য একযোগে কাজ করতে পারে। দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করলে জনশক্তি জনসম্পদে পরিণত হবে।
জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, চলমান বৈশ্বিক সংকটের কারণে দেশে গ্যাস ও ডিজেল সংকট হচ্ছে। তার প্রভাবে বিদ্যুতের সমস্যাও হচ্ছে। এ সংকট মোকাবেলায় দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪ হাজার বায়োগ্যাস প্লান্ট তৈরি করা হচ্ছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী যুব মন্ত্রণালয়কে ১১২ কোটি টাকা দিয়েছেন। আমরা একটি প্রকল্পের অধীনে এ কাজ করছি। এই বায়োগ্যাস যদি সঠিকভাবে উৎপাদন করা যায় তাহলে জাতীয় অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে। বিদ্যুৎও সাশ্রয় হবে।
তিনি আরো বলেন, যুব মন্ত্রণালয়ের অধীনে এখন পর্যন্ত ৬৭ লাখ যুবককে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। এর মধ্যে ১০ লাখ যুবককে ২ হাজার ২২৫ কোটি টাকা স্টার্টআপ ক্যাপিটাল হিসেবে দিয়েছি। যুবকদের উদ্যোক্তা বানাতে সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে কাজ শুরু করেছি। এরই মধ্যে কর্মসংস্থান ও এনআরবিসি ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করেছি। চুক্তি অনুসারে কর্মসংস্থান ব্যাংক বছরে ৩০ হাজার যুবককে স্টার্টআপ ক্যাপিটাল দেবে আর এনআরবিসি ব্যাংক ৫০ হাজার যুবককে স্টার্টআপ ক্যাপিটাল দিয়ে সহযোগিতা করছে।
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ বলেন, স্কুলের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে অনেক কিশোর-তরুণ রয়েছে। যারা অন-দ্য-জব ট্র্রেনিং প্রোগ্রামের অধীনে কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করতে পারে। নারী অংশগ্রহণকারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে এ কর্মসূচি আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।
২০১২ খ্রিষ্টাব্দে ব্র্যাক কারিগরি শিক্ষায় দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্টারের কার্যক্রম শুরু করে। এ কার্যক্রমে ইউনিসেফ, আইএলও এবং উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো যুক্ত আছে।