বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে চর কাউয়া আহমদিয়া হাফিজি ও ফাজিল মাদ্রাসার একাডেমিক ভবনসহ চারটি কক্ষ।
অব্যাহত ভাঙনের ফলে এখনও হুমকির মুখে রয়েছে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসার মূল ভবন, ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ বহু স্থাপনা।
নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ চরকাউয়া আহমদিয়া হাফিজিয়া ও ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ একেএম ফারুক খান বলেন, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ করেই ভাঙন শুরু হয়।
রাতে ভাঙন শুরুর পর থেকে ভোর রাত ৫টার মধ্যে মাদ্রাসার দু’টি টিন শেড একাডেমিক ভবন, একটি লিল্লাহ বোর্ডিং এবং জৈনপুরী হুজুরের একটি খানকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর পাশাপাশি মাদ্রাসার প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় গাছও নদীতে হারিয়ে গেছে।
এখনো ভাঙনের আশংকায় রয়েছে চরকাউয়া তোফায়েল আহমেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চর কাউয়া ইউনিয়ন পরিষদ, ফাজিল মাদ্রাসার মূল ভবনসহ অনেক স্থাপনা।
এর মধ্যে ভাঙনস্থল হতে দুই হাতের মত দুরত্বে রয়েছে আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসা এবং ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টি।
জেলা প্রশাসক সন্ধ্যানাগাদ ওই এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করে দিবেন বলে জানিয়েছেন।