অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় ৪৩ প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি। এর মধ্যে জেএসসি শূন্য পাসের প্রতিষ্ঠান ২০ টি এবং জেডিসিতে শূন্য পাসের প্রতিষ্ঠান ২৩ টি।
সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, জেএসসিতে ঢাকা বোর্ডে শূন্য পাস প্রতিষ্ঠান ৫টি, রাজশাহী বোর্ডে ২টি, যশোর বোর্ডে ১টি, চট্টগ্রাম বোর্ডে ১ টি এবং দিনাজপুর বোর্ডে ১১ টি। এছাড়া মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩টি।
গত বছর জেএসসি-জেডিসিতে ৫ হাজার ২৭৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী পাস করেছিল। আর ৫৯টি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী ফেল করেছিল।
এই হিসেবে এবার শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫১০টি কমেছে। আর শূন্য পাস করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১৬টি।
জেএসসিতে এবার ঢাকা বোর্ডের ৪১৩টি, রাজশাহীর ৯১২টি, কুমিল্লার ১৫৮টি এবং যশোর বোর্ডের ২৭৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী পাস করেছে।
আর চট্টগ্রাম বোর্ডের ৮৯টি, বরিশালে ৮২১টি, সিলেটে ৭১টি, দিনাজপুর বোর্ডের ৩০২টি এবং মাদরাসা বোর্ডের এক হাজার ৭২৭টি প্রতিষ্ঠানের সব শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।
অন্যদিকে মাদরাসা বোর্ডের ২০টি, দিনাজপুর বোর্ডের ১১টি, ঢাকার ৫টি, রাজশাহীর ২টি এবং যশোর ও চট্টগ্রামের একটি করে প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থী জেএসসি-জেডিসিতে অংশ নিয়েও পাস করতে পারেনি।
গত ১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) সারাদেশে একযোগে শুরু হয় 'জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট' (জেএসসি) ও মাদরাসা শিক্ষার্থীদের 'জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট' (জেডিসি) পরীক্ষা। ১ নভেম্বর শুরু হয়ে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলে জেএসসি পরীক্ষা।
অপরদিকে জেডিসি পরীক্ষা চলে ১ থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। ২০১৮ খ্রিস্টাব্দে আট বোর্ডের অধীনে জেএসসিতে ২২ লাখ ৬৭ হাজার ৩৪৩ জন এবং মাদরাসা বোর্ডের অধীনে জেডিসিতে ৪ লাখ ২ হাজার ৯৯০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। দেশের ২৯ হাজার ৬৭৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জেএসসি ও জেডিসিতে অংশ নেয়।