কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবন ভাংচুর ও সংঘর্ষের ঘটনায় দায়ের করা চার মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার মামলাগুলোর প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন পুলিশ তা দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী ওই তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, এর আগে ১০ এপ্রিল ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদি হয়ে একটি মামলা করেন। এ ছাড়া একই সময় অপর তিনটি মামলা করে পুলিশ। তবে কোনো মামলার এজাহারেই আসামির নাম উল্লেখ নেই। অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিটি মামলাই রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা হয়েছে।
৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টা থেকে ২টার মধ্যে শতাধিক মুখোশধারী ভিসির বাড়িতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, পাইপ, হাতুড়ি, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে ভিসির বাড়ির দেয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। দুষ্কৃতকারীরা ঐতিহ্যবাহী ভবনে সংরক্ষিত মূল্যবান জিনিসপত্র, আসবাব, টিভি, ফ্রিজ, ফ্যানসহ সব মালামাল ভাংচুর করে। ভবনে রাখা দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। ভবনের সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে ও আলামত নষ্টের জন্য কম্পিউটারে রক্ষিত ডিভিআর পুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় পরদিন মামলাটি করা হয়।
৯ এপ্রিল ভোর ৪টার দিকে দোয়েল চত্বরে অন্দোলনকারীরা টায়ার ও আসবাবপত্র জ্বালিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রাখে। এ সময় পুলিশ এগিয়ে গেলে আন্দোলনকারীরা পুলিশের ওপর হামলা করে। পুলিশ তা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। ওই ঘটনায় শাহবাগ থানার এসআই রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে পরদিন মামলা করেন। ওই দিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন নাশকতামূলক কাজের অপরাধে শাহবাগ থানার এসআই ভজন বিশ্বাস বাদি হয়ে আরেকটি মামলা করেন।
এ ছাড়া ওই একই সময় সিটিএসবির পুলিশ পরিদর্শক মো. হুমায়ূন কবির ও কনস্টেবল মো. আবু হেনা মোস্তফাকে ৩০-৪০ জন ছাত্র লাঠি ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে। গুরুতর জখম হন ওই দু’জন। এ ঘটনায় আহত পুলিশ পরিদর্শক মো. হুমায়ূন কবির বাদি হয়ে পরদিন অপর আরেকটি মামলা করেন।
সৌজন্যে: যুগান্তর।