শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেসব শিক্ষার্থী ক্লাসে প্রথম হবেন তাদের অভিভাবকদের নিয়ে পরিচালনা পর্ষদ গঠিত হওয়া উচিত বলে মনে করেন বিশিষ্ট শিক্ষা সংস্কারক ও শিক্ষাবিদ মো. নজরুল ইসলাম খান। এমন অভিভাবকদের মধ্য থেকে ভোটাভুটি করে সভাপতি নির্বাচিত হতে পারে।
আদালতের রায়ে চাইলেই সংসদ সদস্যরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি পদ পাওয়ার বিধান রহিত হওয়ার পর দৈনিকশিক্ষার পক্ষ থেকে মতামত জানতে চাওয়া হয় সাবেক শিক্ষা সচিব এন আই খানের।
তিনি বলেন, ক্লাসে প্রথম হওয়া শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্য থেকে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি করা হলে আগ্রহী অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভালো ফলাফলে মনোযোগ দেবেন। কৃতি শিক্ষার্থীর অভিভাবক শিক্ষার উন্নতি চাইবেন। এর ফলে যারা সবসময় কোনো না কোনোভাবে পরিচালনা পর্ষদে থাকেন তারা বাদ পড়ে যাবেন।
বর্তমানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের কিউরেটর এন আই খান মনে করেন এ পদ্ধতি চালু করলে স্কুলের সম্পদে আকৃষ্ট হয়ে যারা কমিটিতে ঢোকার জন্য ব্যয়বহুল নির্বাচন করেন তারা আগ্রহ হারাবেন। নির্বাচন সহজ, অনাড়ম্বর ও স্বল্প ব্যয়ের হবে। অভিভাবকরা স্কুলে তাদের সন্তানদের শিক্ষার বিষয়ে খোঁজ রাখেন না। এই ব্যবস্থা চালু হলে অভিভাবক আগ্রহী হবেন। এর ফলে কমিটি পরিবর্তন করা সহজ হবে। এগুলো করতে হলে বিধিতে পরিবর্তন আনতে হবে।
এন আই খান বলেন, সংসদ সদস্য নির্বাচন ছাড়া কিংবা বিশেষ কমিটির মাধ্যমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারবেন না মর্মে সুপ্রিম কোর্টের আদেশ হওয়ায় জল্পনা কল্পনা হচ্ছে কারা সভাপতি হবেন। বিষয়টি সম্পর্কে দ্রুত সিদ্ধান্ত দরকার। দেরি করা ব্যবস্থাপনা দুর্বলতার সামিল।
উল্লেখ্য, শিক্ষাসচিব থাকাকালেও দৈনিকশিক্ষাকে দেয়া সাক্ষাতকারে প্রায় একই ধরণের সুপারিশ করেন এন আই খান।