হতদরিদ্র খাদিজার ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলাদেশের আইন কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক।
শনিবার খাদিজাকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর সাবেক প্রধান বিচারপতি খাদিজার সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এ ব্যাপারে সাবেক প্রধান বিচারপতির সহকারী জানান, দরিদ্র ও মেধাবী মেয়েটি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হলেও প্রতিবছর তার বইপত্র কেনাসহ একাডেমিক বিভিন্ন খরচ রয়েছে। এ সব খরচ মেটানোর জন্য সাবেক প্রধান বিচারপতি মেয়েটিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির পর একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার পরামর্শ দিয়েছেন। আর সেই অ্যাকাউন্টেই মেয়েটির শিক্ষাখাতের সব খরচ পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
এদিকে খাদিজা এ খবর পেয়ে অত্যন্ত আনন্দ প্রকাশ করেন। তার দুঃসময়ে যারা এগিয়ে আসছেন। যারা তার লেখাপড়ার জন্য খরচ করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তির দিনমজুর বাবা জালাল উদ্দিন ও মা জোসনা বেগমের ৭ সন্তানের ৩য় সন্তান খাদিজা। হতদরিদ্র খাদিজা খাতুন এসএসসি ও এইচএসসিতে ডাবল জিপিএ ৫ পেয়ে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির সুযোগ পান। কিন্তু সেখানে পড়া ব্যয়বহুল হওয়ায় মেয়েটির বাবা এতে অনিহা প্রকাশ করেন। পরে খাদিজা এ প্রতিবেদকের শরণাপন্ন হলে বাংলানিউজে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।