মেহেরপুরের গাংনীতে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার বাওট গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত দুজন শিক্ষার্থী নাহিদ ও রাফিদ পলাতক রয়েছে। অভিযুক্তদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
মামলার বাদী ও ছাত্রীর চাচা ছাতিয়ান গ্রামের রতন আলী জানান, তার ভাতিজি ক্লাস চলাকালীন সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে শিক্ষকরা অসুস্থতাজনিত কারণে তাকে ছুটি দিয়ে বাড়ি যাওয়ার পরামর্শ দেন। স্কুলছাত্রী বাড়ি ফেরার পথে বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র ছাতিয়ান গ্রামের ফজলুল রহমানের ছেলে নাহিদ তার মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক বাওট গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হামিদের ছেলে রাফিদের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তারা দুজন যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করে। এসময় মেয়েটি চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাতেই অভিযুক্ত নাহিদ ও রাফিদের নামে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন জানান, অভিযুক্ত দুজন ছাত্রের বিচারের দাবিতে রোববার সকালে মানববন্ধন করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। সোমবার বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে অভিযুক্ত নাহিদ ও রাফিদকে বিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিস্কার করা হবে।
শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের সহপাঠিকে যৌন নির্যাতনকারী নাহিদ ও রাফিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে ক্লাস বন্ধসহ কঠোর আন্দোলন করা হবে। এদিকে স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টার ঘটনায় এলাকায় নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার জানান, স্কুলছাত্রীকে যৌন নির্যাতের চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযানের পাশাপাশি মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।