কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ১২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত ৫ শতাধিক শিক্ষকের চাকরি স্থায়ীকরণ না হওয়ায় গ্রেডেশন তালিকা তৈরি জন্য তথ্য ফরম পূরণে জটিলতা দেখা দিয়েছে। শিক্ষকদের গ্রেডেশনের তালিকার জন্য তথ্য প্রদানের শেষ তারিখ ছিল ১৭ ফেব্রুয়ারি। কটিয়াদী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য প্রদানের ছকে ১১নং এ চাকরি স্থায়ীকরণের তারিখ লিখতে হবে। উপজেলার ১২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ শতাধিক সহকারী শিক্ষকের চাকরি স্থায়ীকরণের আদেশ না পাওয়ায় শিক্ষকরা তথ্য ছকটি পূরণ করতে পারছেন না। কোনো কোনো শিক্ষক তথ্য ছকের ১১নং এ উল্লেখিত চাকরি স্থায়ীকরণের তারিখের স্থানটি ফাঁকা রাখছেন আবার কেউ কেউ যোগদানের তারিখটিই লিখে দিয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী শিক্ষক বিভ্রান্তিতে পড়েছেন।
এ সুযোগে চাকরি স্থায়ীকরণের নামে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের প্রধান সহকারী আব্দুল হক শিক্ষকদের কাছে থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে আব্দুল হক শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ীকরণের নামে উৎকোচ গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে কটিয়াদী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ হোসেন জানান, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে ১০ নভেম্বর আমি উপজেলার ১২০টি প্রতিষ্ঠানের ৬৬৫ জন শিক্ষকের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য যাবতীয় তথ্য জেলা শিক্ষা অফিসে জমা প্রদান করেছি। এ পর্যন্ত উপজেলার বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষক ও চলতি দ্বায়িত্বে থাকা প্রধান শিক্ষকসহ কিছুসংখ্যক সহকারী শিক্ষকের চাকরি স্থায়ীকরণ হয়েছে। অন্যদের চাকরি স্থায়ীকরণ না হওয়ার কারণ আমার জানা নেই।
কিশোরগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার বণিক জানান, কটিয়াদী উপজেলা হতে শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ীকরণের প্রাপ্ত আবেদন মোতাবেক গত ৩০ নভেম্বর ২০২০ তারিখে এক স্বারকে শতাধিক শিক্ষকের চাকরি স্থায়ীকরণ হয়েছে। আমার নাম ব্যবহার করে শিক্ষকদের কাছ হতে কেউ টাকা হাতিয়ে নিলে তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।